পাবনার ভাঙ্গুড়ায় যুবদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে ছাত্রদল ও যুবদলের তিনজন আহত হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
এর আগে বিকালে উপজেলা যুবদলের আয়োজনে সরকারি হাজী জামাল উদ্দিন ডিগ্রি কলেজ মাঠে এ সভার আয়োজন করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, যুবদলের ৪৭ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় পৌর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক শাহীনুর রহমান ও উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আলতাব হোসেনের মধ্য কে সঞ্চালনার দায়িত্ব পালন করবেন তা নিয়ে দলীয় নেতা কর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে দুই পক্ষ মুখোমুখি অবস্থান নেয়। পরে দলের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ তাৎক্ষণিকভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন এবং অনুষ্ঠান শুরু করেন। কিছু সময় পর মঞ্চের পশ্চিম পাশে আবারো দুই পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্বের বৃষ্টি হয়। এ সময় চেয়ার ও লাঠি নিয়ে এক পক্ষের ওপর অপরপক্ষ চড়াও হন। এতে ছাত্রদল নেতা তাজ, হমায়ুন ও সাহাবুদ্দীনসহ অনেকেই গুরুতর আহত হন। আহতদের উদ্ধার করে ভাঙ্গুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
সভায় পাবনা-৩ আসনে বিএনপি'র প্রাথমিক মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী কেন্দ্রীয় কৃষক দলের সভাপতি হাসান জাফির তুহিন, উপজেলা বিএনপি'র আহ্বায়ক স্বপন ও সদস্য সচিব জাফর ইকবাল বিয়োগসহ বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বিএনপি নেতা ও সাবেক কাউন্সিলর শহিদুল ইসলাম বলেন, দলের মধ্যে ছাত্রলীগ যুবলীগ ঢুকে পড়েছে। শীর্ষ নেতাদের সামনে তাদেরকে দিয়েই পিটিয়ে ছাত্রদল যুবদল নেতাদেরকে আহত করা হয়েছে। যারা ১৭ বছর পুলিশের ভয়ে পালিয়ে ছিল। তারাই এখন সুবিধাবাদীদের হাতে মার খাচ্ছে।
এ বিষয়ে উপজেলা বিএনপি'র সদস্য সচিব প্রভাষক জাফর ইকবাল হিরোক বলেন, যুবদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী প্রোগ্রামে একটা বিশৃঙ্খলায় আমাদেরই তিনজন আহত হয়েছে। এ ঘটনা যারা ঘটিয়েছে তাদেরকে চিহ্নিত করে যুবদলের নেতৃবৃন্দদের সাথে কথা বলে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ বিষয়ে ভাঙ্গুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। তবে এখনো এ ঘটনায় কোন অভিযোগ পাইনি। আহতদের বিষয়ে হাসপাতালে খোঁজখবর নেওয়া হয়েছে।
কেকে/এআর