পটুয়াখালীর গলাচিপায় তথ্য অধিকার আইনে তথ্য চাইতে গেলে বাঁশবুনিয়া ইসলামি আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাও. আবুল বাশার বলেন, তিনি এখন মাদ্রাসায় চাকরি করেন না চাকরি করেন হাইকোর্টে।
বুধবার (২৯ অক্টোবর) তথ্য অধিকার আইনে করা আবেদনের মেয়াদ ৩০ দিন পার হলে মুঠোফোনে তথ্য চাওয়া হয়।
উত্তরে তিনি বলেন, আমি এখন মাদ্রাসায় চাকরি করি না আমি চাকরি করি হাইকোর্টে। তথ্য আমার কাছে নাই আমি দিব কিভাবে?
উল্লেখ্য উপজেলার বাঁশবুনিয়া ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসায় শিক্ষক নিয়োগের অনিয়মের অভিযোগে তথ্য চেয়ে সাংবাদিক জসিম উদ্দিন আহম্মেদ তথ্য অধিকার আইনে আবেদন করলে প্রথমে নিতে অস্বীকৃতি জানান পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সহযোগিতায় গ্রহণ করেন।
সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টায় উপজেলার আমখোলার মুদির হাট বাজার সংলগ্ন আলিম মাদ্রাসায় এ আবেদন করা হয়।
বাঁশবুনিয়া ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আবুল বাশারের নিকট তথ্য চেয়ে তথ্য অধিকার আইনে আবেদন প্রদান করা হলে তিনি সে আবেদন না রেখে ছুঁড়ে ফেলে দেন।
বাশার বলেন, আপনাকে কেন তথ্য দিব, আপনারা কে? আপনারা আসছেন চা- বিস্কুট খেয়ে চলে যান। এ মাদ্রাসার বিষয়ে আপনাদের তথ্য চাওয়ার অধিকার নাই।
পরে বিষয়টি গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মাহমুদুল হাসানকে অবহিত করলে মুঠোফোনে ঐ অধ্যক্ষকে আবেদন গ্রহণ করতে বলেন। এরপর আবেদন গ্রহণ করে।
যেসব বিষয়ে তথ্য চেয়ে আবেদন করা হয়েছে তা হলো, মাদ্রাসায় অধ্যক্ষ নিয়োগ সংক্রান্ত তথ্য, এবতেদায়ী প্রধান নিয়োগ সংক্রান্ত তথ্য, মাদ্রাসার আয়-ব্যয় হিসাবের তথ্য ও কমিটির তালিকা।
কেকে/বি