নীলফামারীর উত্তরা ইপিজেডে চার কারখানা বন্ধের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে শ্রমিকরা। সোমবার (২৭ অক্টোবর) সকালে ইপিজেডের মূল ফটকের সামনে এ কর্মসূচি পালিত হয়। এ সময় সেখানে উত্তপ্ত পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তা নিয়ন্ত্রণে আনে।
শ্রমিকরা জানান, কারখানা কর্তৃপক্ষ তাদের প্রাপ্য বেতন নিয়মিত পরিশোধ করে না। এছাড়া অতিরিক্ত সময় কাজ করালেও সেই পারিশ্রমিক দেওয়া হয় না। এসব নিয়ে শ্রমিকরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে নামলে হঠাৎ চারটি কারখানা বন্ধ করে দেওয়া হয়।
কারখানাগুলো পুনরায় চালুর দাবিতে সকালে ইপিজেডে সামনের অবস্থান নেয় শ্রমিকরা।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমআর সাঈদ বলেন, ‘খবর পেয়ে ইপিজেড এলাকায় উপস্থিত হই। শ্রমিকদের সাথে শান্তিপূর্ণভাবে কথা বলে তাদের বাড়িতে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।’
উত্তরা ইপিজেডের নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ আব্দুল জব্বার চারটি কারখানা বন্ধের কথা স্বীকার করে বলেন, ‘মালিক পক্ষের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে বন্ধ থাকা চারটি কারখানা দ্রুত চালুর চেষ্টা করছি’।
উল্লেখ্য, শনিবার (২৫ অক্টোবর) থেকে কারখানার শ্রমিকরা বিবিন্ন দাবিতে কর্মবিরতি পালন করে। রোববার (২৬ অক্টোবর) উৎপাদন ব্যাহতসহ বিভিন্ন বিশৃঙ্খল কর্মকাণ্ডের কথা উল্লেখ করে দেশবন্ধু টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড, সেকশন সেভেন ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড, ইপিএফ প্রিন্টিং লিমিটেড ও মেইগো বাংলাদেশ লিমিটেডসহ চারটি কারখানা অনিদিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে।