লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলায় মাজেদুল ইসলাম নামের এক পোশাক শ্রমিক নিজের গোপনাঙ্গ ও গলা কেটে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। মানসিক বিকারগ্রস্ততার জেরেই তিনি এমন কাণ্ড ঘটিয়েছেন বলে জানা গেছে।
রোববার (২৬ অক্টোবর) সকালে মহিষখোচা ইউনিয়নের দক্ষিণ বালাপাড়া হাজিপাড়া গ্রামে তার নিজ বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। মাজেদুল ওই গ্রামের নুরল হোসেনের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মাজেদুল ঢাকা-নারায়ণগঞ্জের একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন। সম্প্রতি মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন এবং এর আগেও একাধিকবার আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। গত ২২ অক্টোবর নারায়ণগঞ্জে একটি পাঁচতলা ভবন থেকে লাফিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন, এতে তার পা ভেঙে যায়।
পরিবারের সদস্যরা জানান, শনিবার (২৪ অক্টোবর) তাকে লালমনিরহাটে আনা হয়। রোববার সকালে খাবার শেষ করে মাজেদুল পাশের চাচা ইংরেজ আলীর ফাঁকা বাড়িতে গিয়ে ছুরি দিয়ে প্রথমে নিজের গোপনাঙ্গ এবং পরে গলা কেটে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।
পরিবারের লোকজন তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে আদিতমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। পরে শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
মাজেদুলের চাচা সিরাজুল ইসলাম বলেন, স্ত্রী ও এক কন্যাসন্তানসহ মাজেদুল ঢাকায় থাকত। মানসিক বিকারগ্রস্ত হওয়ায় সে কয়েক দফায় আত্মহত্যা চেষ্টা করেছে। তার আচরণে আমরা আতংকিত।
চিকিৎসাধীন মাজেদুলের শ্যালক রিপন বলেন, মানসিক বিকারগ্রস্ত মাজেদুল কয়েক দফায় আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিল। সে গোপনাঙ্গের প্রায় পুরো অংশই কেটে ফেলেছে এবং গলার প্রায় অর্ধেকাংশ কেটেছে। এমনকি সে চিকিৎসাও নিতে চাইছে না। চিকিৎসকরা অনেকটা জোর করে তার চিকিৎসা দিচ্ছেন। গলার সমস্যার কিছুটা সমাধান হলেও গোপনাঙ্গে চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসকরা।
আদিতমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. নুরনবী বলেন, গলা ও গোপনাঙ্গে আঘাতের চিহ্নসহ মাজেদুল এসেছিলেন। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে দ্রুত রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।
আদিতমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী আকবর জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে অফিসার পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে আত্মহত্যা করার জন্যই তিনি এমনটা করেছেন।
কেকে/ আরআই