যশোর জেলার ঝিকরগাছা উপজেলায় মাদরাসায় না এসেও নিয়মিত বেতন-ভাতা নেওয়ার অভিযোগ ওঠেছে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে।
উপজেলার ছয় নম্বর ঝিকরগাছা ইউনিয়নের শ্রীরামপুর ছিদ্দিকীয়া আলিম মাদরাসায় অধ্যক্ষ হিসেবে ১৯৮৭ সালের ১ জানুয়ারি যোগ দেন মো. আব্দুর রাজ্জাক। তার বিরুদ্ধে নিয়মিত মাদরাসায় না এসেও হাজিরা খাতায় সই দেখিয়ে মাসের পর মাস বেতন-ভাতা তুলে নেওয়ার অভিযোগ ওঠেছে।
আব্দুর রাজ্জাক ইউনিয়নের লাউজানী গ্রামের বাসিন্দা।
জানা যায়, অসুস্থ্যতার কথা বলে মাদরাসায় সপ্তাহে ১-২ দিন উপস্থিত হয়ে সপ্তাহব্যাপী হাজিরা খাতায় সই করেন আব্দুর রাজ্জাক।
সরেজমিন বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) অধ্যক্ষের অফিস কক্ষটি বা চেয়ার ফাঁকা দেখা যায়।
রোববার (২৬ অক্টোবর) আব্দুর রাজ্জাক ক্ষণিকের জন্য মাদরাসায় উপস্থিত হোন। এ সময় অলিখিতভাবে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে এটিএম আব্দুল আহাদকে দেখতে পাওয়া যায়। অধ্যক্ষের অনুপস্থিতের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘অধ্যক্ষ আসেননি। তিনি অসুস্থ্য।’
অধ্যক্ষের অসুস্থ্যজনিত কোন ছুটির আবেদন আছে কি না—জানতে চাইলে আব্দুল আহাদ বলেন, ‘আমার নিকট অধ্যক্ষের ছুটি সংক্রান্ত কোন আবেদন জমা নাই।’
নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক মাদরাসার একাধিক শিক্ষক জানান, অধ্যক্ষ অসুস্থ্যতার কথা বলে ঠিকমত মাদরাসায় আসেন না। তবে, সপ্তাহে ১-২দিন উপস্থিত হয়ে হাজিরা খাতায় পুরো সপ্তাহের সই করে যান।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘আজ সকালে গিয়েছিলাম এবং সকাল সাড়ে ১১টার পূর্বেই চলে এসেছি।’
গত বুধ ও বৃহস্পতিবার মাদরাসায় উপস্থিতির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি ‘থুত’ বলে মুঠোফোনের লাইন কেটে দেন।
মাদরাসার এডহক কমিটির সভাপতি মো. তৌহিদুর রহমান বলেন, ‘আব্দুর রাজ্জাক অসুস্থ্য থাকার কারণে মানবিক দিক বিবেচনা করে তাকে কিছু বলা হয়নি। পরবর্তী তাকে মেডিকেল ছুটি নিতে বলা হলেও তিনি এখনও পর্যন্ত নেননি। কি কারণে তিনি মেডিকেল ছুটি না নিয়ে ছুটি কাটাচ্ছেন, সেটা আমার জানা নেই।’
উপজেলা শিক্ষা অফিসার এসএম সুলতান মাহমুদ বলেন, ‘আমি গত ৮ অক্টোবর মাদরাসা পর্যবেক্ষণ করতে গিয়েছিলাম। অনুপস্থিত পেয়ে অধ্যক্ষকে আমার সাথে দেখা করতে বলেছি। কিন্তু, আজ পর্যন্ত তিনি আমার অফিসে আসেনি।’
কেকে/এমএ