মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযানের ২২ দিনে রাজবাড়ীতে ১৭১ জন জেলেকে আটক করে বিভিন্ন মেয়াদে দন্ড ও ২২ জন জেলের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এ সময় এক হাজার ১১৮ কেজি অর্থাৎ প্রায় ২৯ মন ইলিশ মাছসহ ৩০ লাখ ১৫ হাজার মিটার কারেন্ট জাল জব্দ করেছে প্রশাসন। যার আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় পাঁচ কোটি ৮৩ লাখ ৩৬ হাজার টাকা। পরে জব্দকৃত জাল পুড়িয়ে ধ্বংস ও ইলিশ মাছ এতিমখানায় বিতরণ করা হয়েছে। একইসঙ্গে জরিমানা থেকে আয় করা হয়েছে এক লাখ ২২ হাজার ২০০ টাকা এবং জব্দকৃত নৌকা নিলামে বিক্রি করে আয় হয়েছে ৯৭ হাজার টাকা।
রোববার (২৬ অক্টোবর) সকালে রাজবাড়ী জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. মাহবুব উল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এরআগে ২৫ অক্টোবর মধ্যরাতে শেষ হয় ২২ দিনের মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযানের নিষেধাজ্ঞা। অভিযান শুরু হয় ৪ অক্টোবর।
এদিকে সকালে দৌলতদিয়াসহ নদী তীরবর্তী বাজারে ইলিশ মাছের দেখা মিললেও দাম ছিল আকাশচুম্বি।
স্থানীয়রা জানান, বাজারে আজকে মাছের চেয়ে যেমন ক্রেতা বেশি, তেমনি দামও অনেক বেশি। অভিযানের আগের চেয়ে এখন দাম আরও বেশি। ৫ থেকে ৬ পিসে কেজি হবে—এগুলো ৫ থেকে ৭শ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। ৩ থেকে ৪ পিসে কেজি হবে—সেগুলো ৭০০ থেকে ১২০০ হাজার টাকায় এবং এক কেজি সাইজের গুলো ২৫০০ টাকার ওপরে বিক্রি হচ্ছে।
রাজবাড়ী জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. মাহবুব উল হক এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, “মা ইলিশ রক্ষায় আমরা ২২ দিন রাজবাড়ীর পদ্মা নদীর অংশে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন, মৎস্য কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহযোগিতায় সফলভাবে অভিযান পরিচালনা করেছি। এ সময় ১৭২ টি অভিযান ও ৫৮ টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়েছে। অভিযানে ১৭১ জেলেকে আটকের পাশাপাশি ১ হাজার ১১৮ কেজি ইলিশ ও ৩০ লাখ ১৫ হাজার মিটার কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়েছে। জালের আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ৫ কোটি ৮৩ লাখ ৩৬ হাজার টাকা। পরে মোবাইল কোর্ট পরিচালরার মাধ্যমে আটকৃত জেলের বিভিন্ন মেয়াদে জেল-জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানা থেকে আয় হয়েছে ১ লক্ষ ২২ হাজার ২০০ টাকা এবং জব্দকৃত নৌকা নিলামে বিক্রি করে আয় হয়েছে ৯৭ হাজার টাকা।”
তিনি আরও বলেন, “অভিযান মধ্যরাতে শেষ হলেও ভোর রাত থেতে সকাল পর্যন্ত নদীর বিভিন্নস্থান, বাজার ও আড়ত পর্যবেক্ষন করেছি। সব জায়গায় কমবেশি মাছ থাকলেও ছোট সাইজের ইলিশ মাছের সংখ্যা বেশি। বড় সাইজের খুব একটা নাই। তবে নদীতে মাছ থাকলেও ছোট সাইজেরই বেশি। বিষয়টি রিপোর্ট আকারে উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো হবে।’’
কেকে/এজে