নোয়াখালী বিভাগ আন্দোলন ও আলাদা প্রশাসনিক বিভাগ ঘোষণার দাবিকে কেন্দ্র করে কুমিল্লায় উত্তেজনাকর পরিস্থিতির মধ্যে এক মানবিকতা বিবর্জিত ঘটনা ঘটেছে। নোয়াখালী থেকে ঢাকাগামী এক মুমূর্ষ রোগী ও তার স্বজনদের বহনকারী অ্যাম্বুলেন্সের ওপর হামলা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
প্রত্যক্ষদর্শীদের তথ্যমতে, শনিবার (২৫ অক্টোবর) বিকেলে আতিক নামে এক ব্যক্তি তার মুমূর্ষ রোগী মরিয়মকে নিয়ে জরুরি ভিত্তিতে অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেন। কুমিল্লা বিশ্বরোডের কাছে রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক হয়ে পড়লে তাকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। এসময় হাসপাতালের সামনে স্থানীয় কয়েকজন বখাটে উত্তপ্ত পরিস্থিতি সৃষ্টি করে। রোগীর আত্মীয়-স্বজন বাধা দিলে প্রায় ৫০-৬০ জনের একটি দুর্বৃত্তচক্র তাদের ওপর এবং অ্যাম্বুলেন্স চালকের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। হামলাকারীরা অ্যাম্বুলেন্সটি ভাঙচুরও করে। চিকিৎসা না পেয়ে হাসপাতালে মারা যান রোগী মরিয়ম। এরপর দুর্বৃত্তরা মরদেহ ও গাড়ি দীর্ঘ সময় আটকে রাখে।
মরিয়মের স্বজনরা অভিযোগ করে বলেন, আমরা প্রশাসনের কাছে একাধিকবার সহযোগিতা চাওয়ার পরেও প্রশাসন কোন ধরনের সহযোগিতা করেননি।
এ ঘটনার প্রতিবাদে গ্রেটার নোয়াখালী ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালক ও মোস্তফা হাজেরা ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা জহিরুল ইসলাম রোববার (২৬ অক্টোবর) দুপুর ১২টায় সোনাইমুড়ী বাজারের বৈঠকখানা চাইনিজ রেস্টুরেন্টে সংবাদ সম্মেলন করেন। তিনি এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান এবং জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
সংবাদ সম্মেলনে নোয়াখালীর বিভিন্ন উপজেলার বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের প্রতিনিধি এবং প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও অনলাইন গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে, ঘটনাকে কেন্দ্র করে সোনাইমুড়ীসহ নোয়াখালীর বিভিন্ন উপজেলায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
কুমিল্লার জেলা প্রশাসক মো. আমিরুল কায়ছার খোলাকাগজকে বলেন, এই ধরনের অমানবিক হামলা কোনভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। দোষীদের শনাক্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কেকে/ আরআই