ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে গত শুক্রবার রাতে (২৪ অক্টোবর) সন্ত্রাসীদের গুলিতে বিএনপি নেতা মফিজুর রহমান মুকুল গুরুতর আহত হওয়ার দুই দিন পেরিয়ে গেলেও এখনো কোনো অপরাধী গ্রেফতার হয়নি। এতে স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে। তবে পুলিশ জানিয়েছে, একাধিক টিম কাজ করছে এবং খুব শিগগিরই অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হবে।
গতকাল শনিবার ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মুকুলের শরীরে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা ধরে অস্ত্রোপচার চালিয়ে ফুসফুস থেকে একটি গুলি বের করা হয়।
এভারকেয়ার হাসপাতালে অবস্থানরত জেলা বিএনপির সদস্য হযরত আলী জানান, শনিবার দুপুর ২টা থেকে পৌনে সাতটা পর্যন্ত প্রায় ৫ ঘণ্টা ধরে মুকুল ভাইয়ের শরীরে সফল অস্ত্রোপচার করে ফুসফুসে থাকা গুলিটি বের করা হয়। তবে তার শরীরে থাকা বাকী দুটো গুলি কখন কিভাবে বের করা হবে সেটি নিয়ে আজ রবিবার দুপুরে ডাক্তারদের বোর্ড মিটিং থেকে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে নবীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহীনূর ইসলাম বলেন, ঘটনার পর এখনো কেউ মামলা করেনি। তবে পুলিশের একাধিক টিম তদন্ত করছে। আমরা ইতোমধ্যে বেশ কিছু ক্লু পেয়েছি। আশা করছি, সহসাই সব পরিষ্কার হয়ে যাবে।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে বাসার সামনে সন্ত্রাসীদের গুলিতে গুলিবিদ্ধ হন নবীনগর উপজেলা যুবদলের সাবেক আহবায়ক ও বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান মুকুল। সন্ত্রাসীদের তিনটি গুলি তার পিঠে ও কোমরে লাগে। ঘটনার পরপরই তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় নবীনগর সরকারি হাসপাতাল হয়ে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয় উন্নত চিকিৎসার জন্য।
কেকে/ আরআই