কুমিল্লার মুরাদনগরে অপহরণের আট দিন অতিবাহিত হতে চললেও উদ্ধার হয়নি নবম শ্রেণির ছাত্র রাকিবুল হাসান (১৫)।
গত ১৫ অক্টোবর রাকিবুল নিখোঁজ হয়। তিনি উপজেলার দক্ষিণ রামচন্দ্রপুরের দড়িকান্দি গ্রামের মোল্লা বাড়ির মোহাম্মদ হাসানের একমাত্র ছেলে।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ১৫ অক্টোবর সকালে প্রতিদিনের ন্যায় ঘোড়াশাল আব্দুল করিম উচ্চ বিদ্যালয়ে ক্লাস করতে যায় রাকিব। ক্লাস ছুটির পর সে আর বাড়ি ফেরেনি। বাবা-মা এবং বৃদ্ধ দাদি এদিক সেদিক ও আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে খোঁজ নিয়েও তার সন্ধান পাননি। সন্তান নিখোঁজের পর দিগ্বিদিক ছুটতে থাকেন বাবা-মা।
এরই মাঝে পরদিন রাতে ০১৩৪৪-৮৩৫৪০০ নম্বর থেকে কল আসে। কলে নিখোঁজ রাকিবুলের কান্নার কণ্ঠ ‘বাবা আমাকে বাঁচাও’, আমাকে মারধর করছে। কল দেওয়া ব্যক্তি রাকিবুলের বাবাকে বলেন—বিকাশে ১২ হাজার টাকা পাঠালে রাকিবুলকে ঘোড়াশাল স্কুল মাঠে রাত দুইটার দিকে দিয়ে যাবেন। রাকিবুলের বাবা হাসান বিকাশে থাকা চার হাজার টাকা পাঠান। পরে কল দিলে নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়। এ বিষয়ে মুরাদনগর থানা, কুমিল্লা পুলিশ সুপার, র্যাব-১১ কে অবগত করেন রাকিবের বাবা।
রাকিবের মা রাবেয়া বেগম প্রশাসনের কাছে জোড় হাতে আবেদন করে বলেন, “আমার একমাত্র ছেলেকে আপনারা উদ্ধার করে দেন। আপনাদের সন্তানের কথা ভেবে আমার ছেলেকে উদ্ধার করে দেন।”
র্যাব-১১ এর অধিনায়ক মেজর সাদমান জানান, “কল করা নম্বরটি বারবার লোকেশন চেঞ্জ করছে। আমরা আশা করছি খুব শীঘ্রই ওই স্কুলছাত্র উদ্ধার হবে।”
কুমিল্লা ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল্লাহ জানান, “তারা অভিযোগ করেছে। আমরা ওই ছাত্রকে উদ্ধারে চেষ্টা করছি।”
কেকে/এজে