জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য জুবায়েদ হোসাইনকে ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনায় দোষীদের দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (গোবিপ্রবি) শাখা ছাত্রদল।
সোমবার (২০ অক্টোবর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের লিপুজ চত্বর থেকে মিছিলটি শুরু হয়। ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম বিদ্যুতের নেতৃত্বে মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থান প্রদক্ষিণ করে প্রশাসনিক ভবনের সামনে গিয়ে শেষ হয়। এ সময় ছাত্রদলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
বিক্ষোভ শেষে সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম বিদ্যুত বলেন, বিগত সাড়ে ১৫ বছরে স্বৈরাচার শেখ হাসিনার আমলে আমরা দেখেছি, ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা বেছে বেছে টার্গেট কিলিংয়ের শিকার হয়েছেন। যে নেতাকে মনে হতো স্বৈরাচারের হুমকি, তাকেই টার্গেট কিলিংয়ের শিকার হতে হয়েছে। জুলাই-আগস্টের রক্তের বিনিময়ে যে সরকার বসে আছে, সে সরকারের আমলেও আমরা দেখতে পাচ্ছি আমাদের ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের বেছে বেছে টার্গেট কিলিংয়ের শিকার হতে হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, কিছুদিন আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্য ভাই এবং সবশেষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের জুবায়েদ ভাইকে হত্যা করা হয়েছে। প্রতিটি হত্যার পেছনে কী রহস্য লুকায়িত আছে, তা উন্মোচন করতে হবে। যদি রহস্য উন্মোচন না করা হয়, তাহলে ছাত্রদল বসে থাকবে না। প্রতিটি হত্যার রহস্যের পেছনে কারা বা কোনো সন্ত্রাসী সংগঠন জড়িত আছে কিনা, তা খুঁজে বের করতে হবে। সন্ত্রাসী সংগঠনকে বাঁচানোর জন্য অন্য কাউকে দোষী সাব্যস্ত করে রায় দেওয়া হলে, সে রায় মেনে নেওয়া হবে না। কোনো অসাধু উদ্দেশ্য সফল হতে দেওয়া যাবে না। অসৎ উদ্দেশ্য সফল করার জন্য প্রতিটি ক্যাম্পাসে ছাত্রদল নেতাকর্মীদের বেছে বেছে হত্যা করা হচ্ছে।
তিনি আরও যোগ করেন, যখনই কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, তখনই ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা বা হত্যা করা হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচনের আগে সাম্য ভাইকে হত্যা করা হয়েছে; জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচনও সামনে— ঠিক তার আগেই আমাদের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাই জুবায়েদকে হত্যা করা হয়েছে। এর পেছনে যদি অন্য কোনো সন্ত্রাসী সংগঠন বা কারণ জড়িত থাকে, তাহলে আমরা সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে সঠিক বিচার চাই।
কেকে/ আরআই