চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলায় সমবায় সমিতি আইন ও বিধিমালা বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ নেতার অংশগ্রহণ নিয়ে স্থানীয় রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক বিতর্ক ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। বিএনপি, জামায়াত ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতাকর্মীরা বিষয়টি নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।
সোমবার (২০ অক্টোবর) জেলা সমবায় কার্যালয়ের ভ্রাম্যমাণ প্রশিক্ষণ ইউনিটের আয়োজনে উপজেলা পরিষদের হলরুমে দিনব্যাপী এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
জানা যায়, ওই কর্মশালায় অংশ নেন উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আবুল হোসেন ওরফে হোসাইন বিন ওবাইয়েদ। প্রশিক্ষণ শেষে তিনি নিজের ফেসবুক আইডিতে একটি ছবি পোস্ট করে লিখেন, ‘উপজেলা সমবায় প্রশিক্ষণ সেমিনারে মাননীয় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোজাম্মেল হক চৌধুরী মহোদয়।’
পোস্টটি মুহূর্তের মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিএনপি ও জামায়াতসহ ছাত্র নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ সঞ্চার হয়। অনেকেই পোস্টটির স্ক্রিনশট নিয়ে উপজেলা সমবায় কার্যালয়ের দায়িত্বশীলদের সমালোচনা করে স্ট্যাটাস দেন।
এ বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ফটিকছড়ির সমন্বয়ক কামরুল হাসান নিজের ফেইসবুক ওয়ালে লিখেন, ‘নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এখন উপজেলা সমবায় প্রশিক্ষণের মিটিংয়ে। ওদের নাকি পুলিশ খুঁজে পায় না। কিন্তু তারা এখন প্রসাশনের সামনেই বসে আছে দিব্বি।’
উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব বেলাল উদ্দিন মুন্না বলেন, ‘একজন নিষিদ্ধ ছাত্র সংগঠনের নেতাকে সরকারি কর্মসূচিতে আমন্ত্রণ জানানো বা অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া প্রশাসনের নিরপেক্ষতার প্রশ্ন তোলে। এটি প্রশাসনের নৈতিক অবস্থানকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।’
ছাত্রশিবির নেতা সাইরান কাদের চৌধুরী বলেন, ‘সরকারি অর্থে পরিচালিত প্রশিক্ষণে রাজনৈতিকভাবে নিষিদ্ধ সংগঠনের নেতাকে অন্তর্ভুক্ত করা দুঃখজনক। এর মাধ্যমে সমবায় অফিসের নিরপেক্ষতা ক্ষুণ্ন হয়েছে।’
উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা মো. শহীদ ভূঁইয়া বলেন, ‘আমরা সমবায় সমিতিগুলোকে চিঠি দিয়েছিলাম, তারা তাদের প্রতিনিধিদের পাঠিয়েছে। কেউ কোন দলের, সেটা আমাদের জানা ছিল না। তবে বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখব।’
কেকে/ এমএ