আশুলিয়ার আউকপাড়ায় দীর্ঘদিন ধরে জমি দখল, নিরীহ মানুষদের উপর নির্যাতন ও চাঁদাবাজির অভিযোগে আলোচিত আসামি আইয়ুব আলী সিকদার ওরফে ‘কিলার শিকদার’কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
তিনি সম্প্রতি দায়ের হওয়া একটি অপহরণ ও চাঁদাবাজির মামলার অন্যতম আসামি ছিলেন।
জানা গেছে, আশুলিয়ার নবাব স্টেট এলাকার প্রায় ২১ একর জমি জাল কাগজপত্রের মাধ্যমে বিক্রি ও দখলের চেষ্টা, পাশাপাশি নিরীহ মালিকদের ভয়ভীতি ও মারধরের মাধ্যমে উচ্ছেদের অভিযোগ রয়েছে আইয়ুব আলীর বিরুদ্ধে।
স্থানীয়রা জানান, তিনি অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে এবং দলীয় প্রভাব খাটিয়ে দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করে রেখেছেন।
মামলার বাদী মো. বসির হাওলাদার অভিযোগ করেছেন, ৮ অক্টোবর সন্ধ্যায় সিকদার ও তার সহযোগীরা তাকে অপহরণ করে একটি বাড়িতে আটকে রাখে। এরপর মারধর করে ২১,৫০০ টাকা জোরপূর্বক আদায় করে এবং প্রায় সাড়ে তিন লাখ টাকার মালামাল লুটে নেয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আইয়ুব আলী সিকদার নিজেকে আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী একজন হিসেবে উপস্থাপন করলেও প্রকৃতপক্ষে তিনি রাজনৈতিক পরিচয়ের আড়ালে দীর্ঘদিন ধরে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছেন। আশ্চর্যের বিষয় হলো, তিনি বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুর নাম ভাঙিয়ে বিভিন্ন সময় প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করেছেন। এতে বিভ্রান্ত হয়েছে সাধারণ মানুষ এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একটি অংশও।
অভিযোগ রয়েছে, জমি দখল, চাঁদাবাজি ও ভয়ভীতি প্রদর্শনই ছিল তার মূল কার্যক্রম। তার সঙ্গে আরো অন্তত ২০ জনের একটি সংঘবদ্ধ দল জড়িত, যাদের বিরুদ্ধেও মামলা হয়েছে।
এ বিষয়ে আশুলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আব্দুল হান্নান জানান, চাঁদাবাজি অপহরণ মামলার আসামি “আইয়ুব আলী সিকদারকে মামলার ভিত্তিতে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে জমি দখল, অপহরণ ও চাঁদাবাজির গুরুতর অভিযোগ রয়েছে।
এলাকাবাসীর দাবি, এ ধরনের প্রভাবশালী সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা হোক, যাতে ভবিষ্যতে কেউ এভাবে সাধারণ মানুষের উপর নির্যাতন চালাতে না পারে।
কেকে/এআর