জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির বলেছেন, “গণঅভ্যুত্থান ৫ আগস্টের পরে ৪জন ছাত্রদল নেতাকর্মীদের হত্যা করা হয়েছে। এটা কোনো দূর্ঘটনা নয়, পরিকল্পিত হত্যকান্ড।”
সোমবার (২০ অক্টোবর) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান ভবনের মাঠে অনুষ্ঠিত জানাজার নামাজ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, আমরা সমবেদনা জানাচ্ছি। এই মাসের ৩ তারিখ আরেক জবি শিক্ষার্থী মৃত্যুবরণ করেন। দেশের বিচার ব্যবস্থা আইন কর্মকর্তাদের ওপর ভরসা রাখতে হবে। প্রকৃত আসামিদের বিচার হওয়া উচিত। খুব দ্রুত সময়ে প্রকৃত দোষীদের শনাক্ত করে ঘাতকদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম বলেন, আমরা গভীর শোকাহত। শুরু থেকে আমরা এটা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করছি। দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রকৃত দোষীদের আইনের আওতায় আনা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষক সমিতির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, লালবাগ জোনের ডিসি, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া শাখা ছাত্র শিবির, বাগছাস, ছাত্র অধিকার, আপ বাংলাদেশসহ অন্যান্য ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
লালবাগ জোনের ডিসি মল্লিক হাসান সামি বলেন, ইনসাফের প্রশ্নে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। যারা প্রকৃত অপরাধী তাদের দ্রুত সময়ের আইনের আওতায় আনবো। তদন্তের স্বার্থে আমরা সব বলতে পারছি না। আমরা যাদেরকে সনাক্ত করেছি তাদের কাছে জানতে পারবো কারা কারা জড়িত। আমাদের ওপর ভরসা রাখুন, আশা করি আপনারা খুশি থাকবেন।
তিনি আরও বলেন, আপনারা অর্ধেক পেয়েছেন, আমরা পুরো বিষয়টি পেয়েছি। একজন নিরপরাধকে আমরা শাস্তি দিতে চাইনা। আপনারা ভাবছেন অপরাধীরা শক্তিশালী, কিন্তু তারা শক্তিশালী না। গণমাধ্যমের তথ্য আপনারা বিশ্বাস করবেন না, আমাদের কাছে শুনে নিশ্চিত হবেন।
এর আগে, গতকাল রোববার রাজধানীর আরমানীটোলা এলাকায় টিউশন বাসায় হত্যার শিকার হন জবি শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সদস্য জুবায়েদ হোসেন। জুবায়েদ হোসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় গতকাল রাত ১১ টার দিকে ছাত্রী বর্ষাকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়।
কেকে/ আরআই