চাউলের বস্তায় ওজনে কম দেওয়াসহ নানা অনিয়মের অভিযোগে নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলা খাদ্য পরিদর্শক (ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) ইমরান হোসেন তালুকদারকে স্ট্যান্ড রিলিজ করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ আসিফ পারভেজ।
তিনি জানান, মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) একাধিক জাতীয় দৈনিকের অনলাইন সংস্করণে “চাউল ওজনে কম দেওয়ায় হট্টগোল” শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। বিষয়টি চট্টগ্রাম আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক এসএ কায়সার আলীর নজরে আসে। পরে তিনি বুধবার (১৫ অক্টোবর) সোনাইমুড়ী উপজেলা খাদ্য পরিদর্শক ইমরান হোসেন তালুকদারকে শাস্তিমূলকভাবে নোয়াখালী সদর উপজেলায় বদলি করেন। একই আদেশে সদর উপজেলার খাদ্য পরিদর্শক ইসমাইল হোসেনকে সোনাইমুড়ীতে পদায়ন করা হয়।
স্থানীয় ধান বিক্রেতা ও গুদামসংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার গুদামের কর্মকর্তার নির্দেশে কর্মচারীরা কিছু বস্তার মুখ খুলে চাল বের করে আবার সেলাই করেন। প্রতিটি বস্তায় সেলাইয়ের ধরন ছিল ভিন্ন। এর আগে গুদামের এক কর্মচারীর বস্তা থেকে অভিনব কায়দায় চাল বের করার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়।
বস্তায় চাল কম পাওয়া যাওয়ায় কয়েকজন খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ডিলার প্রতিবাদ জানালে ওই দিন গুদামে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। স্থানীয়ভাবে এটি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দেয়।
ইমরান হোসেন তালুকদার ২০২২ সালের ১৭ নভেম্বর সোনাইমুড়ীতে যোগ দেন। গত ১৫ মে থেকে শুরু হওয়া ধান সংগ্রহ কার্যক্রমেও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছিল বলে জানা গেছে।
সোনাইমুড়ী উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক খবির উদ্দিন বলেন, “খাদ্য পরিদর্শকের অনিয়ম নিয়ে পত্রিকায় লেখালেখি হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতেই তাকে বদলি করা হয়েছে।’
কেকে/ এমএ