নীলফামারী জেলায় এবারের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ১০টি কলেজের কোন শিক্ষার্থী পাস করেনি। 

বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) প্রকাশিত পলাফলে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এবারের এইচএসসি পরীক্ষার প্রকাশিত ফলাফলে ৪৩টি কলেজের কোন শিক্ষার্থী পাশ করেনি। এসব কলেজের শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১৮২ জন। ৪৩টির মধ্যে নীলফামারী জেলার রয়েছে ১০টি কলেজ। এসব কলেজের পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৪০ জন। এছাড়া জেলার একটি কলেজের ৪জন শিক্ষার্থীর মধ্যে সকলেই পরীক্ষায় অনুপস্থিত ছিলেন। ফলে সেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাসের হারও শূন্য। 

জেলার শতভাগ ফেল করা কলেজগুলো হলো সদর উপজেলার লক্ষ্মীচাপ সৃজনশীল কলেজ (মানবিক বিভাগে ১জন পরীক্ষার্থী), সৈয়দপুর উপজেলার সাতপাই স্কুল অ্যান্ড কলেজ (মানবিক বিভাগের ১জন), কিশোরগঞ্জ উপজেলার নয়নখাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ (মানবিক বিভাগের ৮জনের মধ্যে ৫জন ফেল, ৩জন অনুপস্থিত), জলঢাকা উপজেলার বগুলাগাড়ী স্কুল অ্যান্ড কলেজ (মানবিক বিভাগের ১৮ জনের মধ্যে ১৫ জন ফেল, অনুপস্থিত ৩), একই উপজেলার চাওড়াডাঙ্গী স্কুল অ্যান্ড কলেজর (মানবিক বিভাগের ৬ জনের মধ্যে ৩জন ফেল, অনুপস্থিত ৩ জন), গোলমুন্ডা আদর্শ কলেজ (মানবিক বিভাগের ৩ জন), ডিমলা উপজেলার  জেলা পরিষদ স্কুল অ্যান্ড কলেজ (বিজ্ঞান বিভাগের ১জন ও মানবিক বিভাগের ১জন), একই উপজেলার নাউতারা বালিকা স্কুল অ্যান্ড কলেজ (মানবিক বিভাগের ৩ জন), ডিমলা সীমান্ত কলেজ (মানবিক বিভাগের ২জন), গয়াখড়িবাড়ি মহিলা কলেজ (মানবিক বিভাগের ৩ জনের মধ্যে ২জন ফেল, অনুপস্থিত ১জন)।

এছাড়া ডিমলা উপজেলার আদাবাড়ী স্কুল অ্যান্ড কলেজের মানবিক বিভাগের ৪ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে শতভাগ অনুপস্থিত ছিল পরীক্ষায়। 

ফল বিপর্যয়ের বিষয়ে জলঢাকা উপজেলার চাওড়াডাঙ্গী স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মনমোত রায় বলেন, ‘কলেজের এমপিও এখনো পাওয়া যায়নি। বেতন ভাতা না পাওয়ায় ১১ শিক্ষকের বেশিরভাগ অনুপস্থিত থাকেন। তারপরেও অকৃতকার্য শিক্ষার্থীদের মধ্যে ২জন ১ বিষয়ে এবং ১ জন ২ বিষয়ে ফেল করেছে।’

জেলা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা কার্যালয় সূত্র মতে, এ বছর নীলফামারী জেলার ৯৩টি কলেজের ১২ হাজার ১৮৯ জন শিক্ষার্থী এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়। এরমধ্যে পাস করেছে ৭ হাজার ৫২৪ জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৯৮১ জন। পাশের হার শতকরা ৬১ দশমিক ৭৩ শতাংশ। 

কেকে/ এমএ