গাজীপুরের কাপাসিয়ায় পূর্ব শত্রুতার জেরে দুই ছাত্রদল নেতার ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। গুরুতর আহত অবস্থায় তারা বর্তমানে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন। এ বিষয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে।
আহতরা হলেন—সিংহশ্রী ইউনিয়ন ছাত্রদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক শাহরিয়ার হাসান সিয়াম ও একই ইউনিটের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক তামিম আহমেদ। তারা দু’জনেই কাপাসিয়া উপজেলার সিংহশ্রী ইউনিয়নের হাড়িয়াদী গ্রামের বাসিন্দা।
লিখিত অভিযোগে সিয়াম জানান, গত ১৩ অক্টোবর রাত সাড়ে ৮টার দিকে কাপাসিয়া থানাধীন কড়িয়াদী খেয়াঘাট বাজারে অবস্থানকালে স্থানীয় মো. শামীম, মোস্তফা মোড়ল, আল-আমিন, ফরহাদ মোড়ল, রোকন বেপারী, শহিদুল্লাহ, দানিছ, শফিকুল ইসলাম বাহাদুরসহ অন্তত ১০-১২ জন দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে তাদের ওপর হামলা চালায়। এসময় তারা ডাব চুরির মিথ্যা অভিযোগ তুলে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং কিল-ঘুষি ও লাঠিসোটা দিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করে। এতে সিয়াম ও তার বন্ধু সাদিকুল ইসলাম গুরুতর আহত হন। হামলাকারীরা তাদের কাছ থেকে নগদ অর্থ ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয় বলেও অভিযোগ করা হয়েছে।
অভিযোগে সিয়াম আরও জানান, ১৪ অক্টোবর সকালে একই গ্রুপের কয়েকজন মোটরসাইকেলে এসে তাকে ও তামিমকে জোর করে তুলে নিয়ে কাপাসিয়া থানাধীন কুড়িয়াদী খেয়াঘাট এলাকার এক পরিত্যক্ত বাড়িতে নেয়। সেখানে তাদের ওপর আবারও বেধড়ক মারধর করা হয়। অভিযুক্ত শফিকুল ইসলাম বাহাদুর লোহার হাতুড়ি দিয়ে সিয়ামের মাথায় আঘাত করলে তার মাথা ফেটে যায় এবং আল-আমিনের হাতে থাকা লোহার রডের আঘাতে তামিমের পা ভেঙে যায়। স্থানীয়রা গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
সিয়াম বলেন, আমাদের রাজনৈতিক পরিচয়ের কারণে প্রতিপক্ষগোষ্ঠী পরিকল্পিতভাবে আমাদের হত্যা করার চেষ্টা করেছে। এখনো আমাদেরকে বিভিন্নভাবে হুমকি দেওয়া হচ্ছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত শামীম বলেন, এসব অভিযোগ মিথ্যা। সিয়াম ও তামিম গণপিটুনিতে আহত হয়েছে।
সিংহশ্রী ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি শাখাওয়াত হোসেন ভূঁইয়া বলেন, আমি বিষয়টি শুনেছি। ঘটনাস্থলে গিয়ে বিস্তারিত তথ্য জেনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে। সিয়াম আমাদের ছাত্রদলের নেতা।
এ বিষয়ে কাপাসিয়া থানার ওসি আব্দুর রব বলেন, লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কেকে/ আরআই