খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) আইন পাস হবে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম।
বুধবার (১৫ অক্টোবর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জকসু নির্বাচন উপলক্ষে আয়োজিত সার্বিক প্রস্তুতি ও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যালোচনা বিষয়ক সভা শেষে তিনি এ কথা বলেন।
উপাচার্য বলেন, নির্বাচনে বাধা পাওয়ার মতো কোন জায়গা বা বিষয় নেই। আমরা উচ্চ মহলেও বারবার কথা বলছি এটা নিয়ে। সকল বিষয়ই প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। আগামী দশ কর্মদিবস বলে নির্দিষ্ট করে কোথাও কোন মন্তব্য করিনি আমি। আইন পাশের জন্য সবাই জোরালো ভাবে কাজ করছে। দশ কর্মদিবসের আগেও আইন পাশ হতে পারে আবার পরেও হতে পারে। তবে জকসু আইন আকারে পাশ হওয়ার জন্য সকল কাজই গোছানো হয়েছে।
সভায় জকসু নির্বাচনকালীন সময় ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা জোরদার, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও শিক্ষার্থীদের নিরপেক্ষ ভূমিকা নিশ্চিতকরণ, প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সমন্বয়, ভোটকেন্দ্রে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনসহ পর্যাপ্ত নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েনের বিষয়গুলো গুরুত্বের সঙ্গে আলোচনা হয়।
সভায় আরও সিদ্ধান্ত হয়—ভোট গণনা ও ফলাফল ঘোষণার ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বজায় রাখতে হবে এবং কোনো প্রশ্ন উঠলে তা নির্বাচনী বিধিমালা অনুযায়ী তাৎক্ষণিকভাবে সমাধান করতে হবে। এছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার ও উসকানিমূলক বক্তব্য প্রতিরোধে শিক্ষার্থীদের সচেতন করতে গুরুত্বারোপ করা হয়।
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মো. খোদা বখস চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম, ট্রেজারার অধ্যাপক ড. সাবিনা শরমীন, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. শেখ গিয়াস উদ্দিন, জকসু নির্বাচন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মোস্তফা হাসান, প্রক্টর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ তাজাম্মুল হকসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।
কেকে/ আরআই