চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলেছে একাধিক প্যানেল।
বুধবার (১৫ অক্টোবর) দিনব্যাপী চাকসুতে ভোটগ্রহণ হয়।
ছাত্রদল প্যানেলের পক্ষ থেকে সাতটি অভিযোগ করা হয়। অভিযোগুলো হলো—১০০ গজের মধ্যে বিভিন্ন প্রার্থী ভোট চাইছেন এবং ভোটারদের হাতে স্লিপ বিতরণ করছেন; ভোটের কালি সহজেই মুছে যাচ্ছে; অনেক ব্যালটে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তার স্বাক্ষর নেই; দুপুর ১২টার দিকে প্রায় ৪০-৪৫ মিনিট এলইডি স্ক্রিন বন্ধ ছিল, শুধু একটি নয় একাধিক কেন্দ্রে; এক নারী সদস্য ভোটারদের বিরক্ত করেছেন এবং স্লিপ বিতরণ করেছেন; নতুন কলা অনুষদের সামনে লাঠি ও ইট নিয়ে সংঘর্ষের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় এবং এক নাম্বার গেট দিয়ে বহিরাগতদের প্রবেশের অভিযোগ রয়েছে।
ছাত্রদলের ভিপি প্রার্থী সাজ্জাদ হোসেন বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনারের আশ্বাস সত্ত্বেও এলইডি স্ক্রিন ও ভিডিও ফুটেজ পর্যবেক্ষণের ব্যবস্থা ঠিকভাবে কাজ করেনি। এমনকি কমিশন আগের দিন প্রজেকশন মিটিংয়ে মাইক ব্যবহার করে নিয়ম ভঙ্গ করেছে বলেও দাবি করা হয়।
চাকসুর জিএস প্রার্থী মো. শাফায়াত হোসেন বলেন, আমাদের আইডি কার্ড ও ছবি দেখেও কিছু ভোট গ্রহণকারী স্বাক্ষরহীন ব্যালট দিয়েছেন। ফরহাদ হলে ৪৩১ ও ৪৩২ নম্বর বুথে এক নারী সদস্যের স্লিপ বিতরণের প্রমাণ আছে। নতুন কলা অনুষদে আমাদের ওপর লাঠি ও বাঁশ নিয়ে হামলার চেষ্টা হয়। এই নির্বাচন কমিশনের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী অবাধ ও নিরপেক্ষ হয়নি। একাধিক শিক্ষকের পক্ষপাতমূলক আচরণ ও সংগঠনভিত্তিক প্রচারণা চলেছে ক্যাম্পাসে। আমার হাতের কালি পর্যন্ত মুছে গেছে।
নির্বাচনের ভোটগ্রহণের পরে প্রশাসনের ‘একপেশে আচরণ’, স্বাক্ষরবিহীন ব্যালট বাক্সে ঢুকানোসহ আটটি অভিযোগ তুলেছে সুফিবাদী আদর্শে বিশ্বাসী ‘অহিংস শিক্ষার্থী ঐক্য’ প্যানেল। এই প্যানেলের ভিপি প্রার্থী ফরহাদুল ইসলাম বুধবার বিকালে চাকসু ভবনের সামনে সংবাদ সম্মেলনে এসে বলেছেন, তারা নির্বাচনে অনিয়মসহ আটটি বিষয় নির্বাচন কমিশনের কাছে তুলে ধরেছেন। এ বিষয়ে সুষ্ঠু তদন্ত চান তারা।
বিশ্ব ইনসানিয়াত বিপ্লব স্টুডেন্ট ফ্রন্ট সমর্থিত ‘রেভ্যুলেশন ফর স্টেট অব হিউম্যানিটি’ প্যানেল ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে। দিনভর অনিয়ম, নির্বাচন কমিশনের দায়িত্বে ব্যর্থতা এবং প্রহসনমূলক নির্বাচনের অভিযোগ এনে এ ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
কেকে/এজে