‘চিন্তা গঠনেই গৌরবের প্রতিযোগিতা’ স্লোগানকে সামনে রেখে গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্বিতীয় আন্তঃঅনুষদ বিতর্ক প্রতিযোগিতার গ্র্যান্ড ফিনালে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
২ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন অডিটোরিয়ামে জমকালো আয়োজনে অনুষ্ঠিত এ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে সপ্তাহব্যাপী চলা বিতর্ক উৎসবের সমাপ্তি ঘটে।
বিভিন্ন অনুষদ থেকে মোট আটটি দল অংশ নেয় এ প্রতিযোগিতায়। চার দফা ট্যাবুলেশনের মাধ্যমে চারটি দল সেমিফাইনালে ওঠে। বহুল প্রত্যাশিত ফাইনাল পর্বে কৃষি অর্থনীতি ও গ্রামীণ উন্নয়ন অনুষদের দল “থ্রি মাস্কেটিয়ার্স” মুখোমুখি হয় বনবিদ্যা ও পরিবেশ বিজ্ঞান অনুষদের দল “সাংলসপতকের”।
“এলডিসি থেকে উত্তরণের সময় পিছিয়ে দেওয়া জাতীয় স্বার্থের পরিপন্থী”— এ প্রস্তাবনার ওপর অনুষ্ঠিত হয় চূড়ান্ত পার্লামেন্টারি বিতর্ক। তীক্ষ্ণ যুক্তি-তর্কের লড়াইয়ে বিচারকদের মূল্যায়নে চ্যাম্পিয়ন হয় “থ্রি মাস্কেটিয়ার্স”। ফাইনালের স্পিকার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন জিএইউ ডিবেটিং সোসাইটির ভাইস প্রেসিডেন্ট মেহেদী হাসান।
বিচারক প্যানেলে ছিলেন সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট মুস্তাকিম বিল্লাহ, মহব্বত হাসান রিফাত, সাবেক সাধারণ সম্পাদক রিফাতুল ইসলাম শফি এবং ডুয়েট ডিবেটিং সোসাইটির সভাপতি মো. হাবিবুর রহমান।
প্রতিযোগিতা শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. জি কে এম মুস্তাফিজুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মো. সাফিউল ইসলাম আফরাদি, রেজিস্ট্রার মো. আব্দুল্লাহ মৃদহা ও প্রক্টর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ সাইফুল আলম। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ছাত্রকল্যাণ দপ্তরের পরিচালক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ শরীফ রাইহান।
উপাচার্য তার বক্তব্যে বলেন, “বিতর্ক চিন্তাশক্তি, নেতৃত্বগুণ, বিশ্লেষণ ও ইতিবাচক বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চাকে বিকশিত করে। আজকের প্রতিযোগিতায় শিক্ষার্থীদের বুদ্ধিবৃত্তিক পরিপক্বতা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য গৌরবের।”
পরে অংশগ্রহণকারী সব দলের হাতে ক্রেস্ট ও সনদ তুলে দেওয়া হয়। অতিথিরা শিক্ষার্থীদের প্রস্তুতি, যুক্তি-উপস্থাপন ও প্রতিযোগিতার পেশাদারিত্বপূর্ণ আয়োজনের প্রশংসা করেন।
অনুষ্ঠানটি গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে আরও শক্তিশালী ও প্রাণবন্ত বিতর্ক সংস্কৃতির প্রত্যাশাকে আরও দৃঢ় করেছে।
কেকলআ