রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদের (ব্রাকসু) তফসিল অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনের স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনা ও নির্ধারিত তারিখেই ব্রাকসু নির্বাচনের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

‎বুধবার (৩ ডিসেম্বর) সকাল ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের দক্ষিণ গেইটে সংবাদ সম্মেলন করে ভিসি ভবনে অবস্থান করছে তারা।
‎
‎সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা জানান, প্রশাসনের দীর্ঘসূত্রিতা ও নির্বাচনের নামে কালক্ষেপণের প্রতিবাদে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠার চলমান আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, ১৮ নভেম্বর কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (ব্রাকসু) নির্বাচনের তফসিল ঘোষিত হয়, ২৯ ডিসেম্বর ভোট গ্রহণের তারিখ নির্ধারন করা হয় এবং পরবর্তীতে ২৯ ডিসেম্বর নির্ধারিত ভোটগ্রহণের তারিখ পুনর্বিবেচনা শেষে ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ইং তারিখ নির্ধারণ করা হয়। তবে খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশের পর থেকেই শুরু হয় একের পর এক নাটকীয়তা। এর সূচনা ঘটে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের আকস্মিক পদত্যাগের মাধ্যমে। আচরণবিধি প্রকাশ, চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রণয়ন এবং মনোনয়ন ফরম বিতরণের মাধ্যমে উৎসবমুখর এবং নির্বাচনী আমেজ তৈরী হয়।
‎
‎তারা আরও জানান, বিশ্ববিদ্যালয়জুড়ে উৎসবমুখর পরিবেশে শিক্ষার্থীরা মনোনয়ন ফরম, উত্তোলন করলেও, মনোনয়ন ফরম তোলার শেষদিন দুপুরে নতুন করে ষড়যন্ত্র শুরু হয়। ব্রাকসু বানচালকারী একটি গোষ্ঠী নির্বাচন কমিশনের ওপর চাপ প্রয়োগ করে এবং নানা হুমকি দিতে থাকে। এই পরিস্থিতিতে কমিশন অযৌক্তিকভাবে ভোটার তালিকায় ‘অসঙ্গতি’ দেখিয়ে নির্বাচন অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করে। এখানে প্রশাসনের স্বদিচ্ছার যথেষ্ট পরিমাণ ঘাটতি স্পষ্ট।
‎
শিক্ষার্থীরা মনে করেন,‎ উপাচার্যসহ প্রশাসনের উদাসীনতা, দায়িত্বহীনতা ও ধারাবাহিক টালবাহানা এখন স্পষ্ট। তাদের এ রকম অব্যবস্থাপনার কারণে শিক্ষার্থী সংসদ নির্বাচন অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে।
‎
এসময় শিক্ষার্থীরা দুটি দাবির কথা জানান-

‎১। আজকের মধ্যেই তফসিল অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনকে স্বাভাবিক কার্যক্রম সচল করতে হবে
‎
‎২। ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ইং তারিখেই নির্বাচন সম্পন্ন করতে হবে
‎
‎এছাড়াও তারা জানান, শিক্ষার্থী প্রতিনিধিত্বের অধিকার নিয়ে যেকোনো ধরণের টালবাহানা বা ষড়যন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আর কোনোভাবেই মেনে নেবে না। বার বার শিক্ষার্থীদের আবেগ, অনুভূতিতে আঘাত হেনে প্রশাসন চরম দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়ে যাচ্ছে শিক্ষার্থীদের ন্যায্য অধিকার আদায়ের সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে, আমরা আমাদের দাবী আদায়ে কখনোই পিছপা হবো না ইনশাআল্লাহ।

শিক্ষার্থীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, শিক্ষার্থীরা এখনো নমনীয় আচরণ করেছে কিন্তু আজ থেকে তফসিল সচল এবং ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ইং তারিখে নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হলে শিক্ষার্থীরা আর শান্ত থাকবে না। কীভাবে অধিকার আদায় করতে হয় সেটি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জুলাই বিপ্লবে ইতোমধ্যে প্রমাণ করেছে।

কেকে/ এমএস