পূর্ণাঙ্গ বাড়িভাড়া ও ভাতার দাবিতে মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলাতে এমপিওভুক্ত (মাসিক বেতন আদেশ) সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করছেন।
সোমবার (১৩ অক্টোবর) শিক্ষক-কর্মচারীদের এই ধর্মঘটের ফলে উপজেলার প্রায় ৭০টি স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার শ্রেণি কার্যক্রম, পরীক্ষাসহ সব শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ ছিল।
শিক্ষক-কর্মচারীদের মূল দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে মূল বেতনের ২০ শতাংশ বাড়িভাড়া, দেড় হাজার টাকা মেডিকেল ভাতা ও ৭৫ শতাংশ উৎসব ভাতা প্রদান।
সোমবার সকালে মহম্মদপুর সদরের ঐতিহ্যবাহী কাজী সালিমা হক মহিলা কলেজের সম্মেলন কক্ষে আন্দোলনরত শিক্ষক-কর্মচারীদের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা থেকে দাবি আদায়ে কঠোর আন্দোলনের ঘোষণা দেন শিক্ষক নেতারা।
আন্দোলনের মুখে শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ লক্ষ্য করা যায়। শিক্ষক-কর্মচারীদের দাবির প্রতি একাত্মতা প্রকাশ করে শিক্ষার্থীরাও শিক্ষকদের ওপর হামলার তীব্র প্রতিবাদ জানায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মহম্মদপুর উপজেলায় মোট প্রায় ৭০টি এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ৪০টি স্কুল, ৮টি কলেজ ও ১৮টি মাদ্রাসা রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানে সোমবার পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালিত হয়েছে, যার ফলে ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম।
শিক্ষকদের আন্দোলন কমিটির আহ্বায়ক ও কাজী সালিমা হক মহিলা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এসএম ইউনুচ আলীর সভাপতিত্বে সভায় অংশ নেন শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. মাহফুজুর রহমান, শিক্ষক সংগঠনের সভাপতি মো. ফরিদুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক মো. আমিরুল ইসলাম, অন্য সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. ইকবাল আহম্মেদ কবি, বড়ড়িয়া এ ডব্লিউ সিনিয়র মাদ্রাসার সুপার শরীফ আকতারুজ্জামান, বসুর ধুলজুড়ী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. রিয়াজুর রহমান।
অনুষ্ঠানে প্রেস ক্লাব মহম্মদপুরের সভাপতি মো. আজিজুর রহমান টুটুল ছিলেন।
এসএম ইউনুচ আলী বলেন, ‘আমার কলেজের সব শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যবদ্ধভাবে কর্মবিরতি পালন করছেন। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা কেউ ক্লাসে ফিরে যাবেন না। আমাদের ন্যায্য দাবি আদায়ে উপজেলার সব শিক্ষক প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
উপজেলা শিক্ষা অফিসার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) কাজী শফিউল আলম বলেন, ‘আমরা শুনেছি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মবিরতি চলছে। তবে এ বিষয়ে এর বেশি কিছু বলা আমার পক্ষে সম্ভব নয়।’
শিক্ষক নেতারা জানিয়েছেন, তাদের ন্যায্য দাবি দ্রুত বাস্তবায়ন করা না হলে ভবিষ্যতে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
কেকে/ এমএ