নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) ক্যাম্পাসে তিন দিনব্যাপী সপ্তম ছায়া জাতিসংঘ সম্মেলন ২০২৫’-এর উদ্বোধন হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের বীরশ্রেষ্ঠ শহিদ রুহুল আমিন অডিটোরিয়ামে এ সম্মেলনের উদ্বোধন করা হয়।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রেজওয়ানুল হক। 

এনএসটিইউ মডেল ইউনাইটেড ন্যাশন্স অ্যাসোসিয়েশন (এনএসটিইউমুনা) এ সম্মেলনের আয়োজন করে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হানিফ মুরাদ, এনএসটিইউ মডেল ইউনাইটেড ন্যাশন্স অ্যাসোসিয়েশনের ফ্যাকাল্টি এ্যাডভাইজার ড. আবিদুর রহমান, নোবিপ্রবির ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের পরিচালক ড. মো. শিবলুর রহমান। 

সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন ‘এনএসটিইউ মডেল ইউনাইটেড ন্যাশন্স ২০২৫’-এর সাধারণ সম্পাদক মূর্ছনা চক্রবর্তী।

অনুষ্ঠানে মোহাম্মদ রেজওয়ানুল হক বলেন, ‘নোবিপ্রবির জন্য আজকের দিনটি অত্যন্ত আনন্দের এবং গর্বের। প্রায় এক বছর ধরে চলমান কাজের ফল আমরা পেলাম। দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর র‌্যাঙ্কিংয়ে নোবিপ্রবি একটি সুসংহত অবস্থানে এসেছে। আমার প্রত্যাশা থাকবে- আগামীতে নোবিপ্রবি বিশ্ব র‌্যাঙ্কিংয়ে এক হাজারের মধ্যে এবং দেশের সেরা পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে অবস্থান করবে। এনএসটিইউ মডেল ইউনাইটেড ন্যাশন্সে অংশগ্রহণকারীদের উদ্দেশে বলবো, এ সম্মেলনের মাধ্যমে লিডারশিপ গড়ে তোলার জন্য যেসব যোগ্যতা প্রয়োজন সে সম্পর্কে জানবেন এবং নিজেদেরকে আরও সমৃদ্ধ করবেন। আমি আয়োজকদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি এবং নোবিপ্রবি মডেল ইউনাইটেড ন্যাশন্স ২০২৫ এর সফলতা কামনা করছি।’

‘আন্তঃসীমান্ত হুমকি মোকাবিলায় ডিজিটাল অখণ্ডতার মাধ্যমে সামাজিক সংহতি’ প্রতিপাদ্যে সম্মেলনে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়সহ ২৯টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ২৫০ জনেরও বেশি শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করবেন। সম্মেলনে বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিত্বকারী কূটনীতিকদের ভূমিকায় থাকা শিক্ষার্থীরা কূটনৈতিক দক্ষতা বিকাশ, নির্দিষ্ট বিষয়ে সঠিক দৃষ্টিভঙ্গি উপস্থাপন ও রাজনৈতিক বিতর্ক পরিচালনার মানসিকতা উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করবেন। ২৮ জন এক্সিকিউটিভ বোর্ড মেম্বার তাদের আলোচনা নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনা করবেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তারেক মোক্তার ও মন্দিরা চক্রবর্তীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে এনএসটিইউ মডেল ইউনাইটেড ন্যাশন্স অ্যাসোসিয়েশনের ১০ বছর পূর্তি উপলক্ষে নির্মিত বিশেষ ডকুমেন্টারি দেখানো হয়। পরে অতিথিদের মাঝে পরিবেশবান্ধব গাছের চারা উপহার দেয়া হয়।

কেকে/ এমএ