গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (গাকৃবি) “Resilient Agricultural Recovery in Post-Pandemic Bangladesh: Exploring Social Adaptation and Institutional Responses in Crops, Livestock and Fisheries” শীর্ষক এক ইনসেপশন কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (২৬ নভেম্বর) হায়ার এডুকেশন অ্যাক্সেলারেশন অ্যান্ড ট্রান্সফরমেশন (HEAT) প্রকল্পের আওতায় আয়োজিত এবং সাব-প্রজেক্ট ম্যানেজার অধ্যাপক ড. শেখ শামীম হাসানের তত্ত্বাবধানে এ কর্মশালা বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়।
কোভিড–১৯ পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের কৃষি, সমাজ ও অর্থনীতিতে সৃষ্ট বহুমাত্রিক প্রভাব বিশ্লেষণ এবং টেকসই পুনরুদ্ধার কাঠামো প্রণয়নই ছিল কর্মশালার মূল লক্ষ্য। কৃষি–ভিত্তিক উন্নয়ন, খাদ্যনিরাপত্তা এবং ভবিষ্যৎ দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রস্তুতিমূলক কৌশল নিয়েও আলোচনা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গাকৃবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. জি কে এম মুস্তাফিজুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মইনুল হক এবং ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মো. সাফিউল ইসলাম আফ্রাদ।
ঢাকা, খুলনা ও দেশের বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের বিশেষজ্ঞ হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মো. রেজ্জব আলী এবং খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মো. মতিউল ইসলামসহ জাতীয় পর্যায়ের গবেষক ও বিজ্ঞানীরা। কর্মশালায় শিক্ষক, কর্মকর্তা, শিক্ষার্থীসহ বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সদস্যরাও অংশ নেন।
স্বাগত বক্তব্য দেন সহকারী সাব-প্রজেক্ট ম্যানেজার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জিয়া উদ্দিন কামাল। কর্মশালার মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সাব-প্রজেক্ট ম্যানেজার অধ্যাপক ড. শেখ শামীম হাসান। তিনি করোনার ফলে ফসল, প্রাণিসম্পদ ও মৎস্য খাতে সৃষ্ট ক্ষয়ক্ষতি এবং কৃষির সার্বিক কাঠামোতে উদ্ভূত চ্যালেঞ্জ তুলে ধরেন। পাশাপাশি স্বল্পমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি পুনরুদ্ধার পরিকল্পনা এবং ভবিষ্যৎ সংকট মোকাবিলায় রেজিলিয়েন্ট কৃষি ব্যবস্থা গঠনের বিভিন্ন কৌশল প্রস্তাব করেন।
ইন্টারঅ্যাকটিভ প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশগ্রহণকারীরা গবেষণা, প্রযুক্তি, প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধি ও মাঠপর্যায়ের কৃষকদের জন্য কার্যকর সহায়তা–সংক্রান্ত মতামত তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানের সমাপনী বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. জি কে এম মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, “টেকসই কৃষি পুনরুদ্ধার নিশ্চিত করতে হলে কৃষকের জীবনমান উন্নয়ন, গবেষণা ও প্রযুক্তির শক্তিশালীকরণ এবং দীর্ঘমেয়াদি খাদ্যনিরাপত্তা গড়ে তোলাই এখন সময়ের দাবি।”
কর্মশালায় উপস্থাপিত সুপারিশসমূহ দেশের সামগ্রিক কৃষি পুনরুদ্ধার পরিকল্পনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আয়োজকরা আশা প্রকাশ করেন।
কেকে/লআ