শিক্ষক সিন্ডিকেট, জুলাই আন্দোলনে মদদদাতা শিক্ষক ও পরীক্ষার অনিয়মে জড়িত শিক্ষকদের বিচার দাবিতে মানববন্ধন করেছে জাতীয় ছাত্রশক্তি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেতা-কর্মীরা।
বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) দুপুর দেড়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসনিক ভবনের সামনে মানববন্ধন করেন তারা। জাতীয় ছাত্রশক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সংগঠক কাজী মেহরাবের সঞ্চালনায় নেতা কর্মীরা বক্তব্য রাখেন।
মানববন্ধনে ইংরেজি বিভাগের ৫১ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ও ছাত্রশক্তির সংগঠক খন্দকার আল ফাহাদ বলেন, আমরা প্রথম থেকে অভিযুক্ত শিক্ষকদের বিচারের দাবি করে আসছি। কিন্তু আমাদের প্রশাসন একটা কথা বলে যে তারা শিক্ষকদের প্রতি কোন অবিচার করতে পারবে না; ঠিক কথা যে তারা শিক্ষকদের প্রতি কোন অবিচার করতে পারবে না। কিন্তু তারা প্রতিবার শিক্ষার্থীদের প্রতি অবিচার করতে পারে, তারা পূর্বেও করে আসছে, বর্তমানেও করছে। যেই প্রশাসনকে আমরা একটি গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে বসিয়েছি তারা আজকে এই গণ-অভ্যত্থানকে একটা হাসিতে পরিণত করছে। তারা চেয়ারে বসে শুধু কি আরাম, আয়েশ ভোগ করে নাকি দায়িত্ব পালন করে এটাও আমি বুঝতে পারি না।
‘বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ৫১ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ও ছাত্রশক্তির সংগঠক নাদিয়া রহমান বলেন, হামলাকারী শিক্ষার্থীদের বিচার যদি এই দেড় বছরে করা সম্ভব হয়, তাহলে মদদদাতা শিক্ষকদের বিচার কেন এই দেড় বছরে করা সম্ভব নয়? তারা জাকসুর আগে মিটিংগুলোতে তারা বলেছিলেন জাকসু হওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যেই এই শিক্ষকদের বিচার হওয়া সম্ভব। তাহলে, আমার প্রশাসনের কাছে প্রশ্ন: কোথায় সেই বিচার? জাকসু হওয়ার পর আজকে প্রায় দুই মাস হয়ে যাচ্ছে, কিন্তু আমরা এখনো পর্যন্ত শিক্ষকদের কোনো ধরনের বিচারের তৎপরতা প্রশাসনের ভিতরে দেখছি না।’
সরকার ও রাজনীতি বিভাগের ৫০ ব্যাচের শিক্ষার্থী এবং ছাত্রশক্তির সংগঠক জিয়াউদ্দিন আয়ান বলেন, ‘অভিযুক্ত শিক্ষকদের বিচারে এই প্রশাসন নানান সময়ে তালবাহানা করছে, গড়িমসি করছে। আমাদেরকে আশ্বাস দিচ্ছে, তদন্ত কমিটি হচ্ছে; অধিকতর তদন্ত কমিটি হচ্ছে কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এই কুলাঙ্গার শিক্ষকদের বিচার নিশ্চিত করছে না। আমরা মনে করছি, এই শিক্ষকদের বিচার না হওয়ার পিছনে জড়িত রয়েছে আওয়ামীপন্থী সিন্ডিকেট। যে সকল শিক্ষকরা রেজাল্ট টেম্পারিং করছে, সেই সকল টেম্পারিংয়ের সাথে জড়িত রয়েছে আওয়ামীপন্থী সিন্ডিকেট। সেই সকল আওয়ামীপন্থী সিন্ডিকেট বন্ধ করতে হবে, সেই সকল আওয়ামীপন্থী সিন্ডিকেট রুখে দিতে হবে। যদি প্রশাসন এসব শিক্ষকদের বিচার না করে তাহলে সাবেক ভিসি নুরুল আলমের প্রশাসন যেভাবে বিদায় নিয়েছিল, আপনাদেরকেও কিন্তু টেনে হিঁচড়ে নামাতে বাধ্য হব।’
কেকে/ এমএস