চট্টগ্রামের রাউজানে বাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী এক হেফাজত নেতার মৃত্যুর প্রতিবাদে চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রাম-রাঙামাটি আঞ্চলিক মহাসড়ক অবরোধ করেন হেফাজতের নেতা-কর্মীরা। ফলে সড়কে বন্ধ থাকে সব ধরণের যান চলাচল। রাস্তার দু’পাশে আটকা পড়ে শত শত যানবাহন।
বুধবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকাল সাতটা থেকে অবরোধ শুরু করে স্থানীয় হেফাজত নেতাকর্মীরা।
এর আগে, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাউজান উপজেলার চট্টগ্রাম-রাঙামাটি সড়কের নবীন সেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এলাকায় দুর্ঘটনায় মাওলানা সোহেল চৌধুরী (৫০) নামে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের নির্বাহী কমিটির সদস্যর মৃত্যু হয়। এ ছাড়া রাউজান উপজেলার নোয়াপাড়া ইউনিয়নের কচুখাইন আহমদিয়া আল ইসলামিয়া আল হিকমা মাদ্রাসার মুহতামিম ছিলেন তিনি।
সোহেল চৌধুরী চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলার কালাপানিয়া এলাকার আবদুল কাদের চৌধুরীবাড়ির আবুল মহসীন চৌধুরীর ছেলে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, মাওলানা সোহেল চৌধুরী রাউজান এলাকা থেকে নিজের মোটরসাইকেলে করে হাটহাজারীতে ফিরছিলেন। পথে নবীন সেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সংলগ্ন এলাকায় পৌঁছালে পেছন থেকে আসা একটি দ্রুতগতির বাস তাঁকে ধাক্কা দেয়। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার পর বাসচালক জানে আলমকে (৪০) আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
এ ঘটনায় সকাল সাতটার দিকে কয়েক শ মানুষ হাটহাজারী উপজেলায় চট্টগ্রাম-রাঙামাটি ও চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন। এ সময় সড়ক দুটিতে কয়েক শ যানবাহন আটকে পড়ে। এ কারণে দুর্ভোগে পড়েন এসব যানবাহনের চালক ও যাত্রীরা।
চট্টগ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হাটহাজারী সার্কেল) তারেক আজিজ বলেন, ‘এক হেফাজত নেতা সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হওয়ার ঘটনায় তার কিছু সমর্থক হাটহাজারীতে সড়ক অবরোধ করে রেখেছেন। আমরা বিষয়টি আলোচনা করে সমাধানের চেষ্টা করছি।
কেকে/ এমএস