রংপুরের গঙ্গাচড়ায় ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতের তিন দিনেও বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হয়নি। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
গত রবিবার সকালে ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে গঙ্গাচড়া উপজেলার প্রায় ৬ শতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়। একাধিক বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে পড়ে এবং তার ছিঁড়ে যায়। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাসহ আশপাশের অঞ্চলে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পুরো এলাকা এখনো অন্ধকারে। স্থানীয়রা জানান, বিদ্যুৎ না থাকায় যোগাযোগ ও দৈনন্দিন কাজ ব্যাহত হচ্ছে। পানির পাম্প চালানো যাচ্ছে না, মোবাইল ফোনে চার্জ দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
সবচেয়ে বেশি বিপাকে রয়েছেন স্থানীয় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও শিক্ষার্থীরা। আলমবিদিতর ইউনিয়নের খামার মোহনা এলাকার বাসিন্দা মঞ্জিলা আকতার জানান, এমনিতেই ঘূর্ণিঝড়ে ভাঙচুর হয়ে আছে। বিদ্যুৎ না থাকায় ফ্রিজের সব খাবার নষ্ট হয়ে গেছে।
মকবুল নামে এক দোকানদার বলেন, বিদ্যুৎ না থাকায় দোকানের ফ্রিজ বন্ধ। ঠাণ্ডা পানীয় বা আইসক্রিম কিছুই বিক্রি করতে পারছি না। তিন দিন ধরে লোকসান গুনছি।
এ বিষয়ে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর আওতাধীন গঙ্গাচড়া জোনাল অফিসের ডিজিএম মো. শরীফ লেহাজ আলী জানান, ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত খুঁটি ও লাইন মেরামতের কাজ চলছে। দ্রুত বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করার চেষ্টা করা চলছে।
কেকে/ আরআই