আসছে ফেব্রুয়ারিতে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ (বাঞ্ছারামপুর) আসন থেকে বিএনপি থেকে কমপক্ষে এক ডজন মনোনয়ন প্রত্যাশী রয়েছেন। বিএনপির হাইকমান্ডের নজর কাড়ার জন্য অনেক নেতা মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। তবে, চলমান পূজা উদযাপন নিয়ে বিএনপি, জামায়াত, গণসংহতি আন্দোলন, গণশক্তি আন্দোলনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল সনাতন ধর্মাবলম্বীদের এই উৎসবে নেতাকর্মীদের নিয়ে মণ্ডপে মণ্ডপে ঘুরছেন।
মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) তাদের মধ্যে মনোনয়ন প্রত্যাশী সাবেক সংসদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এম এ খালেক পিএসসি, জেলা বিএনপির সহসভাপতি ও বাঞ্ছারামপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি কৃষিবিদ মেহেদী হাসান পলাশ, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকী বিভিন্ন পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করেন। এছাড়াও বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা তোরণ নির্মাণসহ বিভিন্নভাবে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। রোববার মহাষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে পাঁচ দিনব্যাপী পূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের আগে এই পূজা রাজনৈতিক অঙ্গনে ভিন্ন মাত্রা পেয়েছে। মন্দির-মণ্ডপে সোহার্দ ও সম্প্রীতির বার্তা পৌঁছে দিচ্ছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা। পাশাপাশি আর্থিক অনুদান, মণ্ডপ পরিদর্শন, শুভেচ্ছা ও কুশল বিনিময়ের মধ্য দিয়ে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের আস্থা অর্জনে মরিয়া তারা। লক্ষ্য নির্বাচনে ভোট টানা ও নিজের মনোনয়ন নিশ্চিত করা। সেজন্য কেন্দ্রের দৃষ্টি আকর্ষণের আপ্রাণ চেষ্টা চলছে।
বাঞ্ছারামপুর উপজেলা পূজা উদযাপন ফ্রন্টের সদস্য সচিব শ্যামল সূত্রধর জানান, যেকোনো বছরের তুলনায় এ বার আমরা ব্যাপক আনন্দ ও উৎসাহের মধ্যদিয়ে সবগুলো মণ্ডপে নির্বিঘ্নে পুজো উদযাপন করছি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় এবছর ১৩টি ইউনিয়ন ও পৌর এলাকায় ৪১টি পূজামণ্ডপে তৈরি হয়েছে।
বাঞ্ছারামপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফেরদৌস আরা জানান, সরকারের তরফ থেকে প্রতি মণ্ডপে ৫০০ কেজি করে চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। আমি নিয়মিত মণ্ডপ পরিদর্শন করছি। এ যাবত কোনো সমস্যা হয়নি।
জানা গেছে, এখানকার রাজনৈতিক দলগুলো সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পাশে দাঁড়িয়েছে। দলগুলোর পক্ষে মন্দির ও মণ্ডপে আর্থিক অনুদান দেওয়া হয়েছে। উপজেলা বিএনপি সভাপতি কৃষিবিদ মেহেদী হাসান পলাশ শুরু থেকে প্রতিটি মণ্ডপে ঘুরছেন। কুশল বিনিময় করছেন।
আর্থিক অনুদান ও উপহার বিতরণের পাশাপাশি নিরাপত্তার বিষয়ে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে দলগুলো। পূজা চলাকালে মন্দির মণ্ডপের সার্বিক নিরাপত্তায় রাজনৈতিক দলগুলোর সব ইউনিটের নেতাকর্মীদের সজাগ থাকার নির্দেশ দিয়েছে।
এ বিষয়ে জেলা পূজা উদযাপন ফ্রন্টের সভাপতি রতন সাহা বলেন, এবারের শারদীয় দুর্গোৎসব সফল করতে সব রাজনৈতিক দলের সহযোগিতা পাচ্ছি। নিরাপত্তা নিশ্চিতের পাশাপাশি সামর্থ্য অনুযায়ী রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা আর্থিক অনুদান ও সহায়তা দিচ্ছেন।
কেকে/এজে