বৃষ্টিতে বিদ্যালয়ের মাঠে হাটু পানিতে রাজহাঁস, পাতিহাঁস ভাসছিল। স্কুলের মাঠে পানি, সেই পানি ডিঙ্গিয়ে শিক্ষার্থী প্রায় নেই বললেই চলে। এমনই এক দৃশ্য দেখা গেল হোসেনপুর মধ্যপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।
বাঞ্ছারামপুরের ছলিমাবাদ ইউনিয়নের হোসেনপুর মধ্যপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে বৃষ্টি হলেই জমে হাঁটুপানি। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগের সীমা থাকে না। ১৯৯৪ সালে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে এ সমস্যা। বিদ্যালয়ে বর্তমানে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ১৭০ জন, শিক্ষকের সংখ্যা মাত্র তিন জন। প্রধান শিক্ষক নেই দীর্ঘদিন। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে কাজ চালানো হচ্ছে।
স্কুলের ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় বৃষ্টির পানি সাত থেকে আট দিন জমে থাকে এবং পচা গন্ধে শিক্ষার্থীরা ক্লাস করতে পারে না। হোসেনপুর গ্রামের সমাজসেবক মো. আলী হোসেন জানান, পচা পানির ওপর দিয়ে শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়ার কারণে পায়ে চুলকানি এবং সর্দিজ্বরে ভোগে। দীর্ঘদিন মাঠে পানি জমে থাকায় জাতীয় সংগীত ও খেলাধুলা করতে পারছে না শিক্ষার্থীরা।
বিদ্যালয়ের শিক্ষক রাশিদা আক্তার জানান, ‘মাঠে পানি জমে থাকায় শিক্ষার্থীদের অসুবিধা হচ্ছে। মাটি ভরাট কাজ শুরু হবে বলে শুনেছি।’
এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি প্যানেল চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, ‘দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে মাটি ভরাটের বরাদ্দ পাওয়া যাবে। এরপর দ্রুতই কাজ শুরু হবে।’
বাঞ্ছারামপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুল আজিজ বলেন, ‘স্কুল মাঠে হাঁস খেলা করে, শিক্ষক-শিক্ষার্থী থাকে না এবং শিক্ষার্থী দিয়ে শিক্ষকরা ব্যক্তিগত কাজ করা নিয়ে আমরা অভিযোগ পেয়েছি। এই বিষয়ে দুই জন শিক্ষককে শোকজ করা হয়েছে। সহকারী শিক্ষা অফিসার এনামুল হককে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।’
কেকে/এজে