বিশ্ব হার্ট ডে ২০২৫ উদযাপন করেছে দেশের প্রথম জেসিআই স্বীকৃত হাসপাতাল এভারকেয়ার হসপিটাল ঢাকা।
সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিশেষ পেশেন্ট ফোরাম আয়োজনের মধ্য দিয়ে দিবসটি উদযাপন করে হসপিটালটি।
এ বছর ‘ডোন্ট মিস অ্যা বিট’- প্রতিপাদ্যের সাথে অনুষ্ঠানে হৃদরোগের প্রাথমিক শনাক্তকরণ, দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় ইতিবাচক পরিবর্তন ও উন্নত কার্ডিয়াক সেবা নিশ্চিতের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়।
পেশেন্ট ফোরামে অংশ নেন এভারকেয়ার হসপিটাল ঢাকার ক্লিনিক্যাল অ্যান্ড ইন্টারভেনশনাল কার্ডিওলজি বিভাগের কো-অর্ডিনেটর ও সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. একিউএম রেজা; সিনিয়র কনসালটেন্ট অধ্যাপক ডা. মো. শাহবুদ্দিন তালুকদার; সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. শামস মুনওয়ার; সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. আতিকুর রহমান; সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. তামজীদ আহমেদ; এভারকেয়ার হসপিটালস বাংলাদেশের (ঢাকা ও চট্টগ্রাম) ক্লিনিক্যাল ও ইন্টারভেনশনাল পেডিয়াট্রিক কার্ডিওলজি বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা, সিনিয়র কনসালটেন্ট ও কোঅর্ডিনেটর ডা. তাহেরা নাজরীন; হার্ট ফেইলিওর ও অ্যারিদমিয়া ইউনিটের সিনিয়র কনসালটেন্ট অধ্যাপক ডা. এম. আতাহার আলী; নন-ইনভেসিভ কার্ডিওলজি বিভাগের কনসালটেন্ট ডা. নিঘাত ইসলাম; কার্ডিওথোরাসিক ও ভাস্কুলার সার্জারীর সিনিয়র কনসালটেন্ট ও কোঅর্ডিনেটর ডা. মো: জুলফিকার হায়দার; সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. সোহেল আহমেদ; কার্ডিওথোরাসিক এনেস্থেসিয়ার সিনিয়র কনসালটেন্ট ও কোঅর্ডিনেটর ডা. নিয়াজ আহমেদ প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এভারকেয়ার হসপিটালস বাংলাদেশের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিইও ডা. রত্নদীপ চাস্কার, গ্রুপ মেডিকেল ডিরেক্টর ডা. আরিফ মাহমুদ।
পেশেন্ট ফোরামে বিভিন্ন রোগী ও তাদের স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন এবং হৃদরোগ বিশেষজ্ঞবৃন্দ রোগীদের বিভিন্ন হৃদরোগ বিষয়ক সমস্যা ও রোগ সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেন। এছাড়া, মত বিনিময়কালে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞরা প্রতিটি হৃদস্পন্দনের গুরুত্ব তুলে ধরে হৃদরোগ সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির আহ্বান জানান। সেসময় বুকে ব্যথা, শ্বাসকষ্ট বা অনিয়মিত স্পন্দনের মতো উপসর্গ অবহেলা না করার পরামর্শ দেন।
তারা বলেন, ‘নিয়মিত চেকআপের মাধ্যমে প্রাথমিক অবস্থায় রোগ শনাক্ত করা গেলে জীবন বাঁচানোর সম্ভাবনা অনেকাংশে বেড়ে যায়। উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, স্থুলতা, ধূমপানসহ বংশগত কারণেও হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়তে পারে।’
দৈনন্দিন জীবনযাপনে ইতিবাচক পরিবর্তন যেমন- সুষম খাদ্য গ্রহণ, নিয়মিত শরীরচর্চা, স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট, ধূমপান বর্জন, পর্যাপ্ত ঘুম ইত্যাদির মাধ্যমে হার্ট সুস্থ রাখা সম্ভব বলে তারা পরামর্শ দেন।
এছাড়াও, মা ও শিশুর হার্টের যত্ন নিয়েও সচেতনতা বৃদ্ধির আহ্বান জানানো হয়। জন্মগত হৃদরোগ পরিকল্পিত গর্ভধারণের ৩ মাস আগে এমএমআর টিকা, ডায়াবেটিস মেলাইটাস নিয়ন্ত্রণ, উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ এবং গর্ভাবস্থায় টেরাটোজেনিক ওষুধ পরিহারের মাধ্যমে প্রতিরোধ করা যেতে পারে।
বিশেষজ্ঞ আরো বলেন, ‘শিশুর জন্মগত হৃদরোগ ব্যবস্থাপনার জন্য ফিটাল ইকোকার্ডিওগ্রাফি সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করতে হবে।’
তারা নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও হৃদরোগে আক্রান্ত শিশুদের ফলোআপ করার ওপরও জোর দেন।
এভারকেয়ার হসপিটাল ঢাকা দেশের মাটিতে দিচ্ছে বিশ্বমানের কম্প্রিহেনসিভ কার্ডিয়াক-কেয়ার। ক্লিনিক্যাল অ্যান্ড ইন্টারভেনশনাল কার্ডিওলজি; ক্লিনিক্যাল অ্যান্ড ইন্টারভেনশনাল পেডিয়াট্রিক কার্ডিওলজি; হার্ট ফেইলিওর অ্যান্ড অ্যারিদমিয়া ইউনিট; কার্ডিওথোরাসিক অ্যান্ড ভাস্কুলার সার্জারির মতো বিশ্বমানের স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা রয়েছে এখানে।
কেকে/ এমএ