রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়লা-আবর্জনা ও দুর্গন্ধে নোংরা পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে। হাসপাতালের বিভিন্ন স্থানে জমে থাকা ময়লার স্তূপ ও দুর্গন্ধে ভোগান্তিতে পড়েছেন রোগী, স্বজন ও সাধারণ দর্শনার্থীরা। এতে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন রোগীরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, হাসপাতালের ইমারজেন্সি বিভাগে ঢুকতেই নাকে আসে দুর্গন্ধের ঝাঁঝালো গন্ধ। ইমারজেন্সি বিভাগের পাশেই রয়েছে মহিলাদের টয়লেট, যার আশপাশে জমে থাকা বর্জ্য থেকে ছড়াচ্ছে তীব্র দুর্গন্ধ। হাসপাতালটির মহিলাদের টয়লেটের আশেপাশেই দেখা যায়- মলত্যাগ করে রেখেছে। এছাড়াও পুরুষ টয়লেটের আশেপাশেই ময়লার ও অপরিষ্কার নোংরা পরিবেশ, বিকট দুর্গন্ধ। হাসপাতালের বিভিন্ন করিডোর, ওয়ার্ড ও সিঁড়ির ধাপেও জমে আছে ময়লা। এমনকি হাসপাতালের পরিচালকের কার্যালয়ে ওঠার সিঁড়িতেও ময়লা জমে আছে দিনের পর দিন।
রোগী ও তাদের স্বজনরা বলেন, ‘হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসে দুর্গন্ধ ও নোংরার মধ্যে থাকতে হচ্ছে।’
তারা দ্রুত হাসপাতালটিকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
১৯৬৩ সালে প্রতিষ্ঠিত এ সরকারি তৃতীয় পর্যায়ের হাসপাতালটি দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ চিকিৎসাকেন্দ্র। বর্তমানে এর শয্যা সংখ্যা ১ হাজার ৩৫০টি। ২০১৭ সালে হাসপাতালটি ৫০০ শয্যা থেকে সম্প্রসারিত হয়ে ১ হাজার ৪০০ বেডে উন্নীত হয়। প্রতিদিন হাজার হাজার রোগী এখানে চিকিৎসা নিতে আসেন।
হাসপাতালের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দাবি, রোগীর চাপের তুলনায় ক্লিনার ও ওয়ার্ড মাস্টারের সংখ্যা অপর্যাপ্ত। হাসপাতালটিতে বর্তমানে সরকারি ক্লিনার ২১ জন, আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে নিয়োগপ্রাপ্ত বেসরকারি ক্লিনার ৭০ জন। এছাড়া ওয়ার্ড মাস্টার রয়েছেন ৩ জন এবং ওয়ার্ড সরদার ১ জন।
ওয়ার্ড মাস্টার রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘রোগীর চাপ অনেক বেড়ে গেছে। ক্লিনারদের এখন কাজ করতে হিমশিম খেতে হয়। বৃষ্টি হলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়। অনেক ক্লিনার এই কাজের জন্য উপযুক্ত নয়, তাই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতায় ঘাটতি দেখা দিচ্ছে।’
হাসপাতালের পরিচালক ডা. মোহাম্মদ সেহাব উদ্দীন বলেন, ‘পরিচ্ছন্ন কর্মীর কিছুটা ঘাটতি রয়েছে। তবে বিষয়টি আমরা গুরুত্বসহকারে দেখছি। খুব শিগগিরই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া হাসপাতালের সংস্কারের বিষয়টি গণপূর্ত অধিদপ্তরকে জানানো হয়েছে।’
কেকে/ এমএ