চুয়াডাঙ্গা জেলা কারাগারে আটক মারামারি আসামি দুই শিশু সন্তানের জনক মিলন হোসেন (৪০) নামে এক হাজতি মারা গেছে। তার মৃত্যুতে পরিবার নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) ভোর ৪ টার দিকে রিপনকে সদর হাসপালে ভর্তি করে জেল পুলিশ। হাসপালালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভোর ৪ টা ৪৫ মিমিটে সে মারা যায়।
নিহত মিলন হেসেন জেলার দামুড়হুদা উপজেলার চিৎলা গ্রামের বিল্লাল মালিথার ছেলে।
নিহতের পিতা বিল্লাল হোসেন জানান, গত ২৮ আগস্ট সকাল ১০ টার দিকে গ্রামের একটি চায়ের দোকানে মারামারির ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় আমার ছেলে গত ৪ সেপ্টেম্বর আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করে। বিজ্ঞ আদালত জামিন না মঞ্জুর করে জেলা কারাগারে আটক রাখার আদেশ দেন। সেই থেকে আমার ছেলে জেলা কারাগারে আটক ছিলো।
তিনি আরো জানান, আজ ভোর ৪ টার দিকে জেল পুলিশ মোবাইল ফোনের মাধ্যমে জানায় আমার ছেলে অসুস্থ তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে আপনারা আসুন। সংবাদ পেয়ে আমরা ভোর ৫ টার দিকে হাসপাতালে পৌঁছে ছেলেকে মৃত অবস্থায় দেখতে পাই।
চুয়াডাঙ্গা জেলা কারাগারের জেলার মো. ফকর উদ্দিন জানান, সোমবার রাত ৩ টার দিকে হাজতি মিলন হোসেন শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হলে তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভোর ৪ টা ৪৫ মিনিটে হাসপাতালে জরুরী বিভাগের চিকিৎসক নাসিমুজ্জামান তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. ওয়াহিদ মাহমুদ রবিন বলেন, চিকিৎসাধীন অবস্থায় মিলন নামে এক হাজতির মৃত্যু হয়েছে৷ ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর সঠিক কারণ নিশ্চিত করে বলা যাবে। তবে, প্রথমিকভাব ধারণা করা হচ্ছে স্ট্রোকে তার মৃত্যু হয়েছে।
কেকে/ এমএস