চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারী সাব রেজিস্ট্রার অফিসে জায়গার মূল দলিলের পাতা গায়েব করে টাকার বিনিময়ে ভুয়া পাতা সংযুক্ত করার ঘটনা ঘটেছে।
জিয়া উদ্দিন আসলাম নামে অস্থায়ী নকল নবীশ গত ২ সেপ্টেম্বর হাটহাজারী সাব রেজিস্ট্রার অফিসে রেজিস্ট্রারকৃত ৪৩১৬ নম্বর মূল দলিল পরিদর্শনের দরখাস্ত করে দলিল বের করে এ কাজ করেছে বলে জানা গেছে।
লিখিত অভিযোগ পাওয়ায় তাৎক্ষণিক অভিযুক্তকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি, আগামীকাল রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাঙ্গুনিয়ার সাব রেজিস্ট্রারকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন চট্টগ্রাম জেলা রেজিস্ট্রার।
জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে অভিযুক্ত জিয়া উদ্দিন আসলাম সাব রেজিস্ট্রার অফিসে অস্থায়ী নকল নবীশ হিসেবে কাজ করে আসছেন। এ সুবাধে অনেকেই জায়গা রেজেস্ট্রিসহ জায়গা সংক্রান্ত বিষয়ে তার কাছে আসা যাওয়া করেন। গত ১৬ জুলাই গড়দুয়ারা মৌজার একটি জায়গা রেজিস্ট্রি হয়। ওই জায়গার মূল দলিল পরিদর্শন করার নামে সাব রেজিস্ট্রার বরাবরে আবেদন করে জিয়া উদ্দিন আসলাম। মূল দলিল হাতে পেয়েই টাকার বিনিময়ে কৌশলে মূল দলিলের তিনটি পাতা কেটে নতুন তিনটি পাতা সংযুক্ত করে দেয়। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে হাটহাজারী সাব রেজিস্ট্রার পদক্ষেপ নিলে পাতা কর্তনের বিষয়টি স্বীকার করে ক্ষমা ও আর করবে না মর্মে অঙ্গিকারনামা দেন। পরবর্তী বিষয়টি জেলা পর্যায়ে চলে গেলে তাকে সাময়িক বরখাস্ত এবং তদন্তের নির্দেশ দেন চট্টগ্রাম জেলা রেজিস্ট্রার।
জানতে চাইলে ঘটনা স্বীকার এবং অনুতপ্ত জানিয়ে জিয়া উদ্দিন আসলাম জানান, তিনি হাটহাজারী সাব রেজিস্ট্রার বরাবর ক্ষমা চেয়ে অঙ্গিকারনামা দিয়েছেন।
এ বিষয়ে অফিস সহকারী রেজাউল করিম বলেন, ‘ঘটনার বিষয়ে জেলায় অবগত করা হয়েছে। রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) জেলা তদন্তে রাঙ্গুনিয়া সাব রেজিস্ট্রার আসবেন।’
হাটহাজারী সাব রেজিস্ট্রার ওবায়েদ উল্লাহ বলেন, ‘লিখিত অভিযোগ পেয়েই জেলাকে জানানো হয়েছে। রাঙ্গুনিয়া সাব রেজিস্ট্রারকে জেলা কর্তৃক তদন্তের ভার দেওয়া হয়েছে।’
সাময়িক বরখাস্তের বিষয়ে জেলা কর্তৃক নোটিশ এখনও পাননি বলে জানান তিনি।
সাব রেজিস্ট্রারের নাকের ডগায় এ ধরনের দুর্নীতি কিভাবে সম্ভব- এ প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘সবকিছুর খবর রাখা আমার একার পক্ষে সম্ভব নয়। এ জন্য অফিস সহকারী রয়েছেন।’
অফিস সহকারীকে এ প্রশ্নটা করার অনুরোধ করেন তিনি।
কেকে/ এমএ