দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. এনামউল্ল্যাকে ঘিরে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ ও প্রকাশনা শাখার অফিসিয়াল ফেসবুক পেজের বরাতে বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে প্রশাসন।
বিশ্ববিদ্যালয়টির রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. মো. আবু হাসান স্বাক্ষরিত ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ১৭ ও ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ইং তারিখে চ্যানেল ২৪ বিডি. টিভি অনলাইন, দৈনিক কালবেলা, দৈনিক নয়া দিগন্ত এবং দ্যা ঢাকা ডায়েরী অনলাইন পত্রিকায় “হাবিপ্রবি উপাচার্যের বিরুদ্ধে ঘুষের অভিযোগে তোলপাড়”, “হাবিপ্রবি উপাচার্যের বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ, কল রেকর্ড ফাঁস”, “হাবিপ্রবিতে টেন্ডারে অনিয়ম, ভিসির বিরুদ্ধে ঘুষ নেয়ার অভিযোগ” এবং “হাবিপ্রবি উপাচার্যের বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়া ও টেন্ডারবাজির অভিযোগ, কল রেকর্ড ফাঁস”—শীর্ষক সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে, যা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিগোচর হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, প্রকাশিত সংবাদগুলো সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, বিভ্রান্তিকর এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদাপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত ভাইস-চ্যান্সেলরের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অপচেষ্টা। বাস্তবে এ ধরনের কোনো ঘটনার সত্যতা নেই এবং উক্ত কল রেকর্ডের সঙ্গে ভাইস-চ্যান্সেলর মহোদয় কোনোভাবেই যুক্ত নন। অন্য দু’জন ব্যক্তির কথোপকথনের মধ্যে তাকে জড়িয়ে মিথ্যাচার করা হয়েছে, যা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও কাম্য নয়।
এ প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আরও জানায়, ঢাকাস্থ হাবিপ্রবি লিয়াঁজো অফিস কাম গেস্ট হাউজের রিনোভেশনের কার্যক্রম সরকারী বিধিমালা (RFQ পদ্ধতি) অনুসরণ করেই সম্পন্ন করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বিভ্রান্তিকর কল রেকর্ড প্রকাশের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। তদন্তাধীন এই বিষয়ে অপপ্রচারমূলক সংবাদ প্রকাশ অনভিপ্রেত বলে মন্তব্য করে সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমগুলোকে বিভ্রান্তিকর সংবাদ প্রত্যাহারের আহ্বান জানানো হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ভাষ্যমতে, হাবিপ্রবি সব সময় স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও আইনানুগ প্রক্রিয়ায় বিশ্বাসী। এখানেও সব কিছু নিয়ম মেনেই সম্পাদন করা হয়েছে।
কেকে/ আরআই