মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার জায়ফরনগর ইউনিয়নে এক হতদরিদ্র নারী সরকারি ভিজিডি কার্ড নিয়ে প্রতারণার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী অর্পনা রানী দাস।
অর্পনা রানী দাস নিশ্চিতপুর গ্রামের সুদীপ চন্দ্র দাসের স্ত্রী।
সরকারের ভিজিডি চাল ভিডব্লিউবি কর্মসূচি হতদরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত নারীদের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতের লক্ষ্যে পরিচালিত হয়। এর অংশ হিসেবে অর্পনা রানী কয়েক মাস আগে অনলাইনে আবেদন করে বিগত ১০ সেপ্টেম্বর কার্ড নম্বর- ৪৯ পান। ওয়ার্ড সদস্য আজাদ মিয়া ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে তার হাতে কার্ডটি তুলে দিলেও অল্প সময়ের মধ্যেই সচিব রঞ্জন রায় ও ওই ওয়ার্ড সদস্য তার কাছ থেকে জোরপূর্বক কার্ড ফেরত নেন।
অভিযোগে বলা হয়েছে, ‘কার্ড থেকে ভুক্তভোগীর ছবি ছিঁড়ে অন্য এক সচ্ছল নারীর ছবি বসিয়ে তাকে দুই মাসের জন্য ৬০ কেজি চাল বিতরণ করা হয়।’
অর্পনা রানী অভিযোগ করেন, নিয়ম অনুযায়ী তিনি ডাচ বাংলা ব্যাংকের মাধ্যমে ৪৪০ টাকা জমা দিয়েছিলেন। অথচ তার প্রাপ্য চাল প্রতারণার মাধ্যমে অন্যকে দেওয়া হয়েছে।
ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাসুম রেজাকে জানালেও তিনি কোনো ব্যবস্থা নেননি বলে দাবি করেন তিনি।
এ বিষয়ে আজাদ মিয়া বলেন, “একই নামে একাধিক অর্পনা রানী থাকায় ভুল হয়েছে।”
ইউনিয়ন পরিষদের সচিব রঞ্জন রায়ও একই দাবি করে জানান, কার্ড বাতিল করে সংশোধন করা হবে।
জুড়ী উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে যে, অর্পনা রানী সরকারি তালিকাভুক্ত কার্ডধারী।
এ ব্যাপারে ইউএনও বাবলু সূত্রধর বলেন, “অর্পনা রানীর লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্তের জন্য উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাহমুদুল আলম খানকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। তদন্ত শেষে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
কেকে/ এমএ