লালন সাঁইজির ‘সত্য বল সুপথে চল’ গানটি বদলে দেয় শিল্পীর জীবনের বাঁক। স্বাধীনতার বছরখানেক পর কুষ্টিয়ার ছেঁউরিয়াতে দোল পূর্ণিমার উৎসবে গুরু মোকছেদ আলীর অনুরোধে এই গানটি পরিবেশন করে নিজের মধ্যে ভেতরে এক ধরনের অনুরণন অনুভব করেন বলে ভাষ্য ছিল তার। এরপর আর থেমে থাকেননি তিনি, চলেছেন লালনের পথে। হয়ে উঠেছেন লালন কন্যা। বলছি লালন ফরিদা পারভীনের কথা।
শনিবার পৃথিবীর মায়া কাটিয়ে গেছেন তিনি। আজ রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) ঢাকা থেকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে তাকে সেই কুষ্টিয়ায়, যেখানে তার বেড়ে ওঠা। যেখানে শিল্পী জীবনের সকল জৌলুসের মন্ত্রণাদাতা লালনের আবাস।
রাজধানী ঢাকা অনেককিছু দিয়েছে তাকে। তবে এই শহর তাকে ধরে রাখতে পারেনি। তিনি ফিরে গেলেন তার বাবা-মা ও গুরু লালনের টানে সেই কুষ্টিয়াতেই। যেখানে তার শৈশব ও কৈশোরের সোনালি দিনগুলো জমে আছে। তিনি জীবদ্দশায় বলে গেছেন তার ভাবগুরু লালন সাঁইজির দেশ কুষ্টিয়াতেই যেন তাকে দাফন করা হয়। জায়গা নির্ধারণ করে গেছেন তার মা-বাবার কবরকে। তার সেই কথা রাখতে আজ দুপুরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে মরদেহ নিয়ে যাওয়া হচ্ছে কুষ্টিয়ায়। সেখানে দ্বিতীয় জানাজা শেষে শহরের পৌর কবরস্থানে তাকে বাবা-মায়ের কবরে সমাহিত করা হবে।
এর আগে আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে অনুষ্ঠিত হয়েছে ফরিদা পারভীনের প্রথম নামাজে জানাজা।
কেকে/ আরআই