নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে তালিকাভুক্ত দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী নাহিয়ান আজম ইভান (২৫) খুন হয়েছেন।
রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) রাতে ফতুল্লার ওসমানী স্টেডিয়ামের সামনে ইভানকে ছুরিকাঘাত করা হয়। পরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
নিহত ইভান ইসদাইর সুগন্ধা আবাসিক এলাকার জামাই বাবুর ছেলে। ইভানের বিরুদ্ধে হত্যা, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা, ইভটিজিংসহ বিভিন্ন অভিযোগে ফতুল্লা থানাসহ বিভিন্ন থানায় বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে। ইভান আজমেরী ওসমানের ক্যাডার হিসেবে পরিচিত।
ইভানের সাথে ইসদাইর রেললাইন বস্তির পাগলা সাইফুল, তার মেজো ভাই বাবু ও ছোট ভাই সফিকুল ইসলামের সাথে মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিরোধ ছিল। এসব বিষয়ে তাদের মধ্যে একাধিকবার মারধরের ঘটনা ঘটে। একমাস আগেও পাগলা সাইফুল ও তার দুই সহযোগীকে মারধর করেন ইভান। এ ঘটনার পর প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য রোববার রাতে তিনভাই মিলে ইভান ছুরি দিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করে তারা।
এদিকে পুলিশের তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়, ইয়াবা রাখার অভিযোগে ২০২০ সালের ৪ ডিসেম্বর দুই সহযোগীসহ ইভানকে গ্রেফতার করে ফতুল্লা থানা পুলিশ। এরপর চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী হামলার অভিযোগে ২০২২ সালের ১১ মার্চ ৮ সহযোগী ও বেশ কিছু দেশীয় অস্ত্রসহ ফের গ্রেফতার হন ইভান। ২০২২ সালের ১৯ মে আবারো ইভানকে গ্রেফতার করে ফতুল্লা থানা পুলিশ। সবশেষ ২০২৩ সালের ১৩ ডিসেম্বর ৫ সহযোগীসহ ইভানকে গ্রেফতার করে র্যাব।
ইভান হত্যার সত্যতা নিশ্চিত করে ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরীফুল ইসলাম বলেন, ‘নিহতের লাশ বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে আছে। হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।' তবে ইভানের পরিবারের পক্ষ থেকে কেউ অভিযোগ করেনি বলে জানান তিনি।
ছেলে হত্যার বিচার দাবি করে নিহত ইভানের বাবা জামাই বাবু বলেন, আমার ছেলের হত্যাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি চাই।
কেকে/এআর