রাজশাহীর মোল্লাপাড়াস্থ আদিবাসী পাহাড়িয়ার গ্রামে উচ্ছেদ আতঙ্কে দিন কাটানো জনগোষ্ঠীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি তাদের ভিটেমাটি রক্ষার লড়াইয়ে একাত্মতা প্রকাশ করেছে নাগরিক সমাজের একটি প্রতিনিধিদল।
রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) সকালে গ্রামটি পরিদর্শনের পর প্রতিনিধিদলের সদস্যরা পাহাড়ি জনগোষ্ঠী উচ্ছেদ বন্ধ করে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানিয়েছেন।
পরিদর্শনকালে প্রতিনিধিদলের সদস্যরা পাহাড়ি জনগোষ্ঠীভুক্ত মানুষদের সাথে কথা বলেন এবং তাদের সমস্যা ও উদ্বেগের কথা শোনেন।
তারা বলেন, ‘আদিবাসী পাহাড়িদের ভূমি অধিকার নিশ্চিত করতে হবে এবং ভূমিদস্যুদের হাত থেকে তাদের রক্ষা করতে হবে।’
প্রতিনিধিদল সরকারের কাছে অবিলম্বে এই সমস্যা সমাধানের জন্য কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান।
তারা বলেন, ‘আদিবাসী জনগোষ্ঠীর অধিকার রক্ষা করা এবং তাদের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব।’
নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদল ৩টি মূল দাবির উপর গুরুত্বারোপ করেন। এগুলো হল ওই ভূমির দলিল সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর মাঝে বিতরণ ও আবাসনের ব্যবস্থা করতে হবে; আদিবাসী পাহাড়িদের উচ্ছেদ বন্ধে সেখানে অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প স্থাপন করে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হবে এবং ভূমিদস্যু সাজ্জাদ আলীকে দ্রুত আইনের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
সাংবাদিক ও কবি সোহরাব হাসান, নাগরিক উদ্যাগের প্রধান নির্বাহী জাকির হোসেন, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের কেন্দ্রীয় সদস্য দীপায়ন খীসা, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) রাজশাহী জেলা শাখার সভাপতি জামাত খান, ব্লাস্টের প্রধান কার্যালয়ের প্রতিনিধি মো. মিনহাজুল কাদির, জাতীয় আদিবাসী পরিষদের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সূভাষ চন্দ্র হেমব্রম, সিসিবিভিও সমন্বয়কারী আরিফ ইথার, বাংলাদেশ দলিত ও বঞ্চিত জনগোষ্ঠী অধিকার আন্দোলন (বিডিইআরএম) কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক শিপন কুমার রবিদাস, ব্লাস্টের রাজশাহী জেলা সমন্বয়কারী সামিনা বেগম, স্বেচ্ছাসেবক সম্রাট রায়হান উপস্থিত ছিলেন।
কেকে/ এমএ