নীলফামারীর উত্তরা ইপিজেডে শ্রমিক নিহতের ঘটনায় বুধবার বন্ধ ছিল সকল কারখানা। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ইপিজেড এলাকায় নেওয়া হয় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ফলে সেখানে দিনভর ছিল না শ্রমিক এবং কর্মচারীদের আনাগোনা।
এদিকে, পরিস্থিতি শান্ত করে দ্রত সকল কারখানা খোলার ব্যাপারে বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা পর্যন্ত শ্রমিক, কারখানা মালিক, বেপজা, জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের অংশগ্রহনে ইপিজেডে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। অবশেষে দুই দিন বন্ধ থাকার পর আগামীকাল বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সকল কারখানা খোলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সভায় শ্রমিকদের বিভিন্ন দাবি মেনে নেয় কারখানা মালিকপক্ষ।
সভায় অংশ নেয়া জেলা বিএনপির সদস্য আইনজীবী আবু মোহাম্মদ সোয়েম বলেন, আলোচনা ফলপ্রসু হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ইপিজেডের সকল কারখানা খুলে যাবে। শুধু মাত্র এভারগ্রিন কারখানার কিছু প্রস্তুতি জনিত কারণে শনিবার খুলবে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নায়িরুজ্জামান বলেন, বুধবার বেলা ৩টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা পর্যন্ত জেলা প্রশাসন, কারখানা মালিক, বেপজা কর্তৃপক্ষ, বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও শ্রমিক প্রতিনিধিদের নিয়ে সভা অনুষ্ঠিত হয়। শ্রমিকদের যৌক্তিক দাবিগুলো বেশির ভাগ কারখানা মালিকরা মেনে নিয়েছেন। এ কারণে আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে সব কারখানা খুলবে। এভারগ্রিনের সঙ্গে বেপজার কিছু চুক্তি হবে। শনিবার থেকে এভারগ্রিন কারখানা খুলবে।
কেকে/ আরআই