নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে পূর্ব শত্রুতার জেরে চাঁদার দাবিতে স্ত্রী শিরিনা আক্তারসহ খোরশেদ আলম নামে মসজিদের এক ইমামকে হত্যার হুমকি, বাড়িঘর ভাংচুর ও মারাত্মকভাবে পিটিয়ে যখমের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বুধবার (২৭ আগস্ট) দুপুরে সোনারগাঁও পৌরসভার গোয়ালদি (হরিসপুর) গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। আহত খোরশেদ আলম নিজে বাদী হয়ে একই এলাকার মৃত বিল্লাল হোসেনের ছেলে শাহ আলম (৬০), শাহ আলমের ছেলে রিফাত (২৭) ও তার মা মোসা. পারভীন আক্তারসহ (৪৫) অজ্ঞাতনামা আরো ৩/৪ জনকে আসামি করে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার সোনারগাঁ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সোনারগাঁও পৌরসভার গোয়ালদী (হরিশপুর) গ্রামের মো. খোরশেদ আলম (৫৭) দীর্ঘদিন যাবত মেঘনা উপজেলার বড় কান্দা পশ্চিম পাড়া এলাকায় চিশতিয়া নিজামিয়া দরবার শরীফ জামে মসজিদে ইমামতি করে আসছেন। জমি সংক্রান্ত বিরোধে তার বড় ভাই শাহ আলমের সঙ্গে দীর্ঘদিন যাবত বিরোধ চলছিল। সম্প্রতি উভয় পরিবারের বাড়ির সামনে দিয়ে একটি রাস্তা নির্মাণকে কেন্দ্র করে শাহ আলমের ছেলে রিফাত ইমাম খোরশেদ আলমের কাছ থেকে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। সেই চাঁদার টাকা না পেয়ে গত বুধবার দুপুরে তাদের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে রিফাতের নেতৃত্বে শাহ আলম, পারভীন আক্তারসহ ১০/১২ জনের একটি দল দেশীয় অস্ত্র রামদা, ছেনা, ছুরি ও চাকু নিয়ে হামলা করে। হামলায় খোরশেদ আলম ও তার স্ত্রী শিরিনা আক্তারকে পিটিয়ে মারাত্বকভাকে জখম করে। তাদের কান্নাকাটির আওয়াজ শুনে স্থানীয়রা উদ্ধার করে সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তাদের ভর্তি করেন।
আহত ইমাম খোরশেদ আলম জানান, আমি বাড়িতে না থাকায় দীর্ঘদিন ধরে শাহ আলম আমার পরিবারকে অন্যায়ভাবে জুলুম করে আসছে। প্রায় সময়ই আমার স্ত্রী ও সন্তানদের মারধর করে। বাড়িঘরে হামলা চালায়। বিভিন্ন সময়ে মারধরের ভয় দেখিয়ে আমার পরিবারের কাছে চাঁদা দাবি করে। বাড়ির পাশ দিয়ে একটি রাস্তা নির্মাণকে কেন্দ্র করে তার কাছে শাহ আলমের ছেলে রিফাত দুই লাখ টাকা দারি করে। সেই টাকা না দেওয়ায় তাকে ও তার স্ত্রীকে পিটিয়ে জখম করেছে।
অভিযুক্ত রিফাতের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি চাঁদার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন জমি সংক্রান্ত বিরোধে তাদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয়েছে।
সোনারগাঁ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. রাশেদুল হাসান খান বলেন, ইমাম ও তার স্ত্রীকে মেরে যখম করা ও তাদের কাছে চাঁদার চাওয়ার অভিযোগ গ্রহণ করা হয়েছে। তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কেকে/ এমএস