ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর উত্তর সেক্রেটারি মাওলানা মুহাম্মদ আরিফুল ইসলাম বলেন, ৭২ এর স্বৈরাচারী সংবিধান বাতিল, সংস্কার, বিচার তারপর নির্বাচন দিতে হবে। কারণ ৭২ এর সংবিধান সরকারি কর্মকর্তা, আমলা-কামলাদের ও রাজনৈতিক নেতাদেরকে ভাতা, বাড়ি-গাড়ি ও নিরাপত্তা দিয়েছে।
বুধবার (২৭ আগস্ট) সন্ধ্যায় রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট এলাকার মহারাজ কমিউনিটি সেন্টারে ঢাকা-১৭ আসনের নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠন সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, সাধারণ জনগণের মৌলিক অধিকার, শিক্ষা, চিকিৎসা ও নিরাপত্তা থেকে বঞ্চিত করেছে। তাই সাধারণ জনগণ আর বঞ্চিত হতে চায় না। এ জন্যই তারা পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন চায়। এতে অধিকাংশ রাজনৈতিক দল একমত। তারপরও যদি সন্দেহ-সংশয় থাকে তাহলে গণভোটের আয়োজন করুন। জনগণ যেভাবে রায় দিবে, সেভাবে নির্বাচন হবে।
ঢাকা মহানগর উত্তরের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার অব. আমিনুল হক তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন নগর উত্তরের প্রচার ও দাওয়াত বিষয়ক সম্পাদক মুফতি মো. মাছউদুর রহমান, ঢাকা-১৭ আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী আলহাজ্ব ডা. মুফতি মোহাম্মদ উল্লাহ আনসারী।
অন্যান্যের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন, কবির হোসেন, সাবেক কাউন্সিলর আলহাজ্ব জহির আহমেদ খান, মুফতি হাফিজুল হক ফাইয়াজ, হাফেজ মাওলানা মাহমুদুল হাসান, আলহাজ্ব শফিকুর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার আমানুল্লাহ, কামরুল ইসলাম শিশির।
তিনি আরো বলেন, পিআর পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচন হলে দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীল পরিবেশ বজায় থাকবে। নমিনেশন বাণিজ্য হবে না। ইসির সক্ষমতা যাচাইয়ের জন্য জাতীয় নির্বাচনের পূর্বে স্থানীয় নির্বাচনের আয়োজন করতে হবে। স্থানীয় নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরাপদভাবে আয়োজন করতে পারলে আমরা বুঝবো, জাতীয় নির্বাচন আয়োজনে ইসি প্রস্তুত হয়েছে।
কেকে/এআর