বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেছেন, গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে রাজনৈতিক নেতৃত্বেরও মনস্তাত্ত্বিক সংস্কার প্রয়োজন। কারো হটকারিতা ও লোভ লালসার কারণে দেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণের সুযোগ নষ্ট করা যাবে না। খন্দকার আলী আব্বাস রাজনীতিকে ব্যক্তিগত স্বার্থে ব্যবহার করেননি।
রোববার (১৭ আগস্ট) সকালে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাবেক সভাপতি খন্দকার আলী আব্বাসের ১৪তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে নবাবগঞ্জে আয়োজিত স্মরণসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সাইফুল হক বলেছেন, ছাত্র শ্রমিক জনতার গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে রাজনৈতিক নেতৃত্বেরও মনস্তাত্ত্বিক সংস্কারও প্রয়োজন। রাষ্ট্র-সমাজের গণতান্ত্রিক রুপান্তরের জন্য দলসমূহের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের অনুশীলনও জরুরি।
তিনি বলেন, ২৪ এর গণজাগরণ-অভ্যুত্থান দেশকে এগিয়ে নেওয়ার এক বিশাল সম্ভাবনা জাগিয়ে তুলেছে। কারও হটকারিতা ও লোভ লালসার কারণে এই সম্ভাবনা নষ্ট করা যাবে না। নির্বাচনের মধ্য দিয়ে দেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণ বিলম্বিত হলে গণঅভ্যুত্থানের অর্জন বিসর্জনে পর্যবসিত হবে, দেশের বহুমাত্রিক ঝুঁকিও বৃদ্ধি পাবে।
খন্দকার আলী আব্বাসের সংগ্রামী স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি বলেন, রাজনীতিকে তিনি ব্যক্তিগত স্বার্থে ব্যবহার করেননি, রাজনীতিকে তিনি ব্যবসা হিসাবে দেখেননি। তার আপোষহীন সংগ্রামী জীবন নতুন প্রজন্মের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হিসাবে থাকবে।
তার আগে খন্দকার আলী আব্বাসের কবরে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে তার প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হয়। শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য আকবর খান, আনছার আলী দুলাল, কেন্দ্রীয় সংগঠক বাবর চৌধুরী, শাহাদাত হোসেন খোকন, পার্টির ঢাকা জেলার নেতা শেখ হেলালউদ্দিন প্রমুখ।
স্মরণসভায় বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দসহ স্থানীয় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। পুষ্পস্তবক অর্পণের পর একটি শোকমিছিল নবাবগঞ্জ প্রদক্ষিণ করে।
উল্লেখ্য, খন্দকার আলী আব্বাস ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ২০১১ সালে ৬৬ বছর বয়সে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। ২০০৫ থেকে ২০১১ পর্যন্ত বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি পুনর্গঠনেও তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
কেকে/এজে