মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় আলোচিত সন্ত্রাসী স্যুটার মান্নান হত্যাকাণ্ডের সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন হৃদয় বাঘ নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার (১৬ আগস্ট) বিকাল সাড়ে চারটার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় সে।
মৃত হৃদয় বাঘ (২৮) গজারিয়া উপজেলার ইমামপুর ইউনিয়নের হোগলাকান্দি গ্রামের হাবুল বাঘ ওরফে হবি উল্লাহর ছেলে।
খবর নিয়ে জানা যায়, গত ২৮ জুলাই সকাল দশটার দিকে মেঘনা নদীর গজারিয়া অংশের বড় কালীপুরা এলাকায় প্রতিপক্ষ লালু-পিয়াস গ্রুপের গুলিতে নিহত হয় গজারিয়া শীর্ষ সন্ত্রাসী স্যুটার মান্নান। এ ঘটনায় হৃদয় বাঘসহ আহত হয় ৬জন। আহতের মধ্যে হৃদয় বাঘের অবস্থায় ছিল আশঙ্কাজনক। গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনার পর থেকে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিল সে। তার গায়ে একাধিক গুলির আঘাত রয়েছে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছে।
গজারিয়া থানা সূত্রে জানা যায়, ঘটনার পরদিন ২৯জুলাই গজারিয়া থানায় একটা হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহত মান্নানের স্ত্রী সুমি আক্তার। মামলায় হোগলাকান্দি গ্রামের সাজেদুল হক লালুকে এক নম্বর আসামি করে ১৬ জন নামীয় ও অজ্ঞাতনামা ৫/৬জন জন ব্যক্তিকে আসামি করা হয়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে গজারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আনোয়ার আলম আজাদ বলেন, এরকম একটি খবর আমিও পেয়েছি। নিহতের স্বজনরা বিষয়টি আমাকে জানিয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ২৮ জুলাই সকাল দশটার দিকে মেঘনা নদীর বড় কালীপুরা এলাকায় প্রতিপক্ষের গুলিতে নিহত হয় গজারিয়া শীর্ষ সন্ত্রাসী স্যুটার মান্নান। এ ঘটনায় আরেক সন্ত্রাসী হৃদয় বাঘসহ আহত হয় আরো ছয়জন। অবৈধ বালুমহাল পরিচালনা,নদীতে চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন বিষয়কে কেন্দ্র করে বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষ লালু ও নৌ ডাকাত নয়ন-পিয়াস গ্রুপের লোকজন তাকে হত্যা করেছে বলে দাবি নিহতের স্ত্রী সুমি আক্তারের।
কেকে/ এমএস