গাজীপুরে শহিদ তাজউদ্দীন আহমদ নার্সিং কলেজে একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধের ডাক দিয়েছে নার্সিং কলেজের শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (১৩ আগস্ট) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত নার্সিং কলেজের সামনে অবস্থান নিয়ে শিক্ষার্থীরা এ দাবি জানান। কলেজ গেটে তালা লাগিয়ে ‘কমপ্লিট শাট ডাউন’ লেখা ব্যানার টানিয়ে দেন তারা।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানায়, শহিদ তাজউদ্দীন আহমদ নার্সিং কলেজে শিক্ষাবান্ধব পরিবেশ ফিরিয়ে আনার জন্য কলেজশিক্ষক মো. জামাল উদ্দিন ভূঁইয়া, মো. তাজুল ইসলাম ও মো. মোখলেছুর রহমানের বদলির দাবি সাত কর্মদিবসের মধ্যে সম্পন্ন না হওয়ায় কমপ্লিট শাট ডাউন ঘোষণা করে।
শিক্ষার্থীরা আরো জানায়, শহিদ তাজউদ্দীন আহমদ নার্সিং কলেজের সব শিক্ষার্থীরা যোগ্য ব্যক্তির অধ্যক্ষ পদে পদায়নের দাবিতে গত ২ ফেব্রুয়ারি থেকে ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আন্দোলন শুরু করে। পরে অধ্যক্ষ পদে যোগ্য ব্যক্তির পদায়ন করা হয়। ওই আন্দোলনে নার্সিং কলেজের তিন শিক্ষক (নার্সিং ইনস্ট্রাক্টর) মো. জামাল উদ্দিন ভূঁইয়া, মো. তাজুল ইসলাম ও মো. মোখলেসুর রহমান সাধারণ শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক ও শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে সরাসরি বিরোধিতা করে এবং আন্দোলন চলাকালীন সময়ে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা সংশ্লিষ্ট কর্মকাণ্ড উল্লেখপূর্বক সরাসরি হুমকি দেন।
পরে সাধারণ শিক্ষার্থীরা অধ্যক্ষ বরাবর দরখাস্ত প্রদানের মাধ্যমে তাদের পাঠদান বর্জনসহ শিক্ষার্থীবিষয়ক সমস্ত কার্যক্রম থেকে বয়কট করে। তারপরও উল্লিখিত তিনজন শিক্ষক বিভিন্নভাবে কলেজের পাঠদানের পরিবেশ বিনষ্ট করে চলেছে। শিক্ষার্থীদের বিভিন্নভাবে অপদস্থ করে চলেছে। কলেজের কোনো শিক্ষার্থী তাই উল্লিখিত তিনজন শিক্ষকের কাছে হতে পাঠদান নিতে আগ্রহী নয়।
কলেজের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান চয়ন বলেন, ‘কলেজের শিক্ষাবান্ধব পরিবেশ রক্ষায় স্থায়ী সমাধান না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চলমান থাকবে।’
কলেজের নার্সিং ইনস্ট্রাক্টর বলেন, ‘শিক্ষকগণ এখানে সরকারি আদেশে বদলি হয়ে এসেছে। তারা সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়ন করেছে। কোনো শিক্ষার্থীর সঙ্গে শিক্ষকদের কোনো সমস্যা হয়নি। হঠাৎ করে শিক্ষার্থীদের তিন শিক্ষকের বিরুদ্ধে আন্দোলনের কোনো যৌক্তিকতা নেই।’
কেকে/এএস