মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলায় ইসমানির চরে আখক্ষেতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। আখ চুরি ঠেকাতে ক্ষেতের পানিতে বৈদ্যুতিক তার ডুবিয়ে রাখতেন জমি মালিক। পানি বিদ্যুৎ সুপরিবাহী হওয়ায় পানিতে প্রবাহিত বিদ্যুৎ থেকে ওই কিশোরের মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বুধবার (১৩ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৮টায় হোসেন্দী ইউনিয়নের ইসমানির চর গ্রামের আখক্ষেত থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে স্থানীয়রা।
নিহতের নাম শাহীন (১৪)। সে টেংগারচর ইউনিয়নের টেংগারচর গ্রামের জহিরুল ইসলামের ছেলে। তবে তারা সপরিবারে তার নানা বাড়ি হোসেন্দী ইউনিয়নের ইসমানির চর গ্রামের ফরায়েজী পাড়া এলাকায় বসবাস করত।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) সন্ধ্যা ৭টা থেকে নিখোঁজ ছিল শাহিন। স্বজনরা রাতভর খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান পায়নি। এদিকে বুধবার (১৩ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে স্থানীয় মিন্টুর আখক্ষেতে তার লাশটি ভেসে থাকতে দেখে স্থানীয়রা সেটি উদ্ধার করে। মিন্টু আখ চুরি ঠেকাতে আখক্ষেতে পানিতে বৈদ্যুতিক তার ডুবিয়ে রাখত, স্থানীয়দের অনেকেই বিষয়টি জানত। লাশটি উদ্ধারের আগেও পানিতে বিদ্যুৎ-এর অস্তিত্ব নিশ্চিত হয় স্থানীয়রা। পরে বিদ্যুৎসংযোগ বন্ধ করে লাশটি উদ্ধার করে হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা রমজান হোসেন আলী, ‘বিষয়টি স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে মোটামুটি সবাই জানত। আমরা অনেকবার মিন্টুকে এ কাজ করতে না করেছিলাম কিন্তু তিনি কারো কথা শুনতেন না। অত্যন্ত বিপজ্জনক হলেও তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে আখক্ষেতের পানির মধ্যে বৈদ্যুতিক তার ডুবিয়ে রাখতেন। আমাদের ধারণা ছেলেটি আখ আনতে সেখানে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গেছেন।’
বিষয়টি সম্পর্কে গজারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আনোয়ার আলম আজাদ বলেন, ‘এরকম একটি খবর আমিও পেয়েছি। খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বিস্তারিত পরে জানানো হবে।’
কেকে/এএস