গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে অষ্টম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় মোশারফ হোসেন (৪০) নামের মীরগঞ্জ আদর্শ হাইস্কুলের এক সহকারী শিক্ষককে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর ব্যানারে প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগ এবং অভিযুক্ত শিক্ষকের বিচার দাবিতে স্কুলের সামনের রাস্তায় একটি মানববন্ধনের ডাক দেওয়া হয়। তবে তাতে স্কুলের শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকরাসহ সাড়া মেলেনি স্থানীয়দের। আর সাড়া না থাকায় কর্মসূচিটি কার্যত পণ্ড হয়ে যায়।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, সোমবার (৪ আগস্ট) সকালে অভিযুক্ত শিক্ষক মোশারফ হোসেন শিক্ষার্থীর বাবার মোবাইল নম্বরে কল দিয়ে মীরগঞ্জ-সোনারায় সড়কের একটি উঁচু ব্রিজে যেতে বলেন। কিছুক্ষণ পর শিক্ষার্থী তার খালাতো বোনকে সঙ্গে নিয়ে সেখানে উপস্থিত হলে অভিযোগ অনুযায়ী শিক্ষক তার হাত ধরে টানাটানি করেন। শিক্ষার্থীর চিৎকারে পথচারী দুজন এগিয়ে এলে শিক্ষক সেখান থেকে চলে যান।
ঘটনার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে দেখা যায়, শিক্ষক তার মোটরসাইকেলে ওই দুই ছাত্রীকে নিয়ে কোথাও যাচ্ছেন এবং পেছন থেকে অন্য এক ব্যক্তি ভিডিও ধারণ করছেন।
তবে ভিন্ন বক্তব্য দিয়েছেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী। কয়েকটি গণমাধ্যমকে তিনি জানান, ‘স্যার বাবার মোবাইলে ফোন দিয়েছিলেন, যা আমি ডিলিট করেছি। আমরা দুই বোন মোটরসাইকেলে উঠেছিলাম। তখনই ভিডিও করা হয়। মোশারফ স্যার ভালো পড়ান। খারাপ দৃষ্টিতে তাকান কি না, জানি না।’
অভিযুক্ত শিক্ষক মোশারফ হোসেনও অভিযোগ অস্বীকার করে দাবি করেন, ‘আমি শাহাবাজ হাইস্কুলে এক সহকর্মীর সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছিলাম। পথে দুই শিক্ষার্থী হেঁটে যাচ্ছিল। তারা বাইকে উঠতে চাইলে আমি শিক্ষক হিসেবে মানবিক কারণে নিয়ে যাই। ভিডিওটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ছড়ানো হয়েছে। স্কুলের আশপাশে বখাটেদের উপস্থিতি নিয়ে আমি আগেও কথা বলেছি। হয়তো তারাই এ কাজটি করেছে।’
এ বিষয়ে সুন্দরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হাকিম আজাদ বলেন, ‘ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর মামলার ভিত্তিতে শিক্ষক মোশারফ হোসেনকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়। আদালত তাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন।’
কেকে/এজে