হৃদরোগের কাছে হার মেনে না ফেরার দেশে পাড়ি দিয়েছেন পর্তুগালের কিংবদন্তি ফুটবলার জর্জ কস্তা।
মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতানো অধিনায়ক। মৃত্যুকালে সাবেক এই ডিফেন্ডারের বয়স হয়েছিল মাত্র ৫৩ বছর।
বার্তা সংস্থা এপি জানিয়েছে, হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করেন কস্তা। পোর্তোর ট্রেইনিং সেন্টারে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন তিনি। সেখান থেকে দ্রুত তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও, বাঁচানো সম্ভব হয়নি। মৃত্যুর আগে তিনি ক্লাবটির ফুটবল ডিরেক্টরের দায়িত্বে ছিলেন।
নিজের খেলোয়াড়ি জীবনে সব মিলিয়ে ৫৩০ ম্যাচ খেলেছেন কস্তা। এর মধ্যে ৩৮৩ ম্যাচ খেলেছেন পর্তুগিজ ক্লাব এফসি পোর্তোর হয়ে। আর পর্তুগাল জাতীয় দলের হয়ে খেলেছেন ৫০ ম্যাচ। কস্তার নেতৃত্বে ২০০৪ সালে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা জেতে পোর্তো। তার আগের বছর উয়েফা কাপ জয়ী দলের নেতৃত্ব দেন তিনি। এ ডিফেন্ডার ক্লাবটিকে ৮ বার পর্তুগিজ লিগ জিততেও সহযোগিতা করেছিলেন।
ক্লাবের এ কিংবদন্তিকে নিয়ে পোর্তো এক বিবৃতিতে লেখে, ‘জর্জ কস্তা তার জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে, মাঠের ভিতরে এবং বাইরে, এফসি পোর্তোর মূল্যবোধের প্রতীক ছিলেন। তিনি ছিলেন নিষ্ঠা, নেতৃত্ব, আবেগ এবং অদম্য জয়ের চেতনা। তিনি তার প্রজন্মের সমর্থকদের উপর ছাপ রেখেছিলেন এবং পোর্তিসমোর প্রতীক হয়ে উঠেছিলেন।’
২০০৪ সালে কস্তার নেতৃত্বে যখন পোর্তো চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতেছিল, সে সময় কোচের দায়িত্বে ছিলেন জোসে মরিনহো। নিজের শিষ্যের প্রয়াণে মর্মাহত মরিনহো। রটারডমে ফেয়েনুর্দের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের বাছাইপর্ব খেলবে তার দল ফেনেরবাচে। তার আগে সংবাদ সম্মেলনে কস্তাকে নিয়ে কথা বলতে গিয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন মরিনহো।
স্মৃতিরোমন্থন করে কস্তার নেতৃত্বের প্রশংসা করেন তিনি। এসময় কস্তা তাকে কী বলতেন, সেটা কল্পনা করে তিনি বলেন, ‘জনাব, কান্না থামাও। কাল তোমার ম্যাচ আছে এবং ছেলেরা তোমাকে প্রস্তুত এবং শক্ত দেখতে চায়।’
২০০৬ সালে খেলোয়াড়ি জীবন ছাড়ার পর একাধিক ক্লাবের ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করেছিলেন কস্তা। গত বছরের এপ্রিলে তিনি স্পোর্টস ডিরেক্টর হিসেবে সাবেক ক্লাব পোর্তোতে ফিরে আসেন। কস্তা আজীবন পোর্তোর ভালোবাসায় সিক্ত থাকবে জানিয়ে ক্লাবটি তাদের বিবৃতিতে আরও লেখে, ‘জর্জ কস্তার কীর্তি সব সময় পোর্তোর সমর্থকদের স্মৃতিতে থাকবে। তুমি কখনো মুছে যাবে না, নেতা।’
কেকে/এআর