এশিয়া কাপ শেষ হয়েছে দুই সপ্তাহ হয়ে গেছে। তবে এখনো টুর্নামেন্ট নিয়ে আলোচনা থামেনি। অবশ্য থামার কথাও নয়—ফাইনালে পাকিস্তানকে হারিয়ে এশিয়া কাপ জেতা ভারত যে এখন পর্যন্ত ট্রফিটাই হাতে পায়নি।
ফাইনালে ভারতের খেলোয়াড়রা পিসিবি চেয়ারম্যান ও এসিসি প্রেসিডেন্ট মহসিন নাকভির কাছ থেকে ট্রফি গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানানোয় নাকভি আর ট্রফি দেননি। তিনি স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন, ভারতকে ট্রফি নিতে হলে তার কাছ থেকেই নিতে হবে।
ব্যাপারটির এখনো কোনো সমাধান হয়নি। এরই মধ্যে ভারতের সংবাদ সংস্থা পিটিআই দিয়েছে নতুন খবর। তারা জানিয়েছে, বিসিসিআই মনে করছে আইসিসির পক্ষ থেকে পিসিবি প্রধান নাকভিকে তার আচরণের জন্য সতর্ক করা হতে পারে।
এমনকি নাকভি হারাতে পারেন আইসিসিতে তার পরিচালক পদও। সংবাদ সংস্থাটিকে এক সূত্র বলেছে, ‘পিসিবি কিংবা নাকভির ক্ষেত্রে কী ঘটে, সেটাই এখন দেখার বিষয়। বিসিসিআইয়ের কাছে এটা পরিষ্কার যে ভারতীয় দলকে নিজেই ট্রফি দিতে জোরাজুরি করা এবং টুর্নামেন্টের অফিশিয়াল আয়োজক বিসিসিআইয়ে ট্রফি পাঠানো প্রত্যাখ্যান করার অধিকার তার (নাকভি) ছিল না।’
এর আগে বিসিসিআই সচিব দেবজিৎ সাইকিয়া বলেছিলেন, এশিয়া কাপের ট্রফি নাকভির ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয় এবং তাকে যত দ্রুত সম্ভব তা ভারতের কাছে ফেরত দিতে হবে। এশিয়া কাপের ট্রফি প্রসঙ্গ উঠেছিল কিছুদিন আগে অনুষ্ঠিত এসিসির সভাতেও। সেই সভায় বিসিসিআই দাবি তোলে, অবিলম্বে ট্রফি হস্তান্তরের, কিন্তু নাকভি সাফ জানিয়ে দেন—ভারতকে তাদের অধিনায়ককে এসিসির কার্যালয়ে পাঠিয়ে ট্রফি নিতে হবে। অন্যদিকে ভারতের চাপের কাছে মাথা নত না করায় পাকিস্তানের একটি সংস্থা নাকভিকে শহিদ জুলফিকার আলী ভুট্টো এক্সেলেন্স গোল্ড মেডেল দেওয়ার ঘোষণা দেয়।
ভারতের সংবাদমাধ্যমের খবর, এশিয়া কাপের ট্রফিটি এখন দুবাইয়ে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) কার্যালয়ে তালাবদ্ধ আছে। সংস্থাটির চেয়ারম্যান নাকভির অনুমতি ছাড়া ‘ট্রফিটি স্থানান্তর কিংবা কারও হাতে তুলে না দেওয়ার নির্দেশনা’ দেওয়া হয়েছে। নাকভির ঘনিষ্ঠ এক সূত্র এ বিষয়ে পিটিআইকে বলেছে, ‘ট্রফিটি এখনো দুবাইয়ে এসিসির অফিসে আছে। নাকভির পরিষ্কার নির্দেশনা রয়েছে, তার অনুমতি এবং উপস্থিতি ছাড়া সেটা স্থানান্তর করা কিংবা কারও হাতে তুলে দেওয়া যাবে না। তিনি নিজে উপস্থিত থেকে ভারতীয় দল কিংবা বিসিসিআইকে (সেটা যখনই ঘটুক) ট্রফিটি দেবেন, এ বিষয়ে পরিষ্কার নির্দেশনা দিয়েছেন নাকভি।’
কেকে/এজে