বরিশালের গৌরনদী উপজেলার প্রধান মহাসড়কসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়কে বৈদ্যুতিক খুঁটি এখন রীতিমতো ঝুঁকির প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে। সড়কের মাঝখানে দাঁড়িয়ে থাকা এসব খুঁটির কারণে যানবাহনের গতি কমে গেছে, বাড়ছে যানজট, আর যেকোনো মুহূর্তে ঘটে যেতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।
শনিবার (২ আগস্ট) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক থেকে শুরু করে পকেট সড়ক ও জনবহুল এলাকায় বৈদ্যুতিক খুঁটিগুলো রাস্তায় অযথাভাবে দাঁড়িয়ে আছে। গৌরনদী জিরো পয়েন্টের অটো স্ট্যান্ডসংলগ্ন সড়কেও এমন চিত্র দেখা গেছে।
স্থানীয় ব্যবসায়ী ও সাংবাদিক বিএম বেলাল হোসেন জানান, এসব খুঁটির কারণে থ্রি-হুইলার, রিকশা ও পথচারীরা বড় ধরনের ঝুঁকির মুখে পড়ছেন।
গৌরনদী কলেজের ছাত্রী সাদিয়া বলেন, “বন্দর রোডে সিসিডি’র সামনে কিছু খুঁটি ফুটপাত দখল করে রেখেছে। ফলে মানুষকে বাধ্য হয়ে রাস্তায় নেমে হাঁটতে হচ্ছে, যা খুবই বিপজ্জনক।”
স্থানীয়রা জানান, গৌরনদী বাসস্ট্যান্ড থেকে পূর্বমুখী যে সড়কটি উপজেলা প্রশাসন, মডেল থানা, গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজসহ একাধিক সরকারি ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সংযুক্ত, সেই সড়কেও অন্তত ১০টি বৈদ্যুতিক খুঁটি রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছে। এসব খুঁটির কারণে প্রতিদিন সৃষ্টি হচ্ছে যানজট, ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা।
স্থানীয় শিক্ষক মো. আতিক বলেন, “বিদ্যালয়ে যেতে শিক্ষার্থীদের প্রতিনিয়ত ঝুঁকি নিয়ে চলতে হয়। বিষয়টি খুবই উদ্বেগজনক। দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।”
সচেতন নাগরিকরা বলছেন, দীর্ঘদিন ধরে এমন পরিস্থিতি চললেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। সড়ক প্রশস্ত করা হলেও মাঝখানে খুঁটি থাকার কারণে পুরো উন্নয়ন কার্যক্রম প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়েছে।
এ বিষয়ে গৌরনদী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডিজিএম মো. শাহিন ফকির বলেন, “এলজিইডি বা সড়ক বিভাগ যদি আনুষ্ঠানিকভাবে আমাদের চিঠি দেয়, তাহলে আমরা খুঁটিগুলো সরিয়ে নেব।”
স্থানীয়দের দাবি, এই অব্যবস্থাপনা শুধু জনদুর্ভোগই নয়, বরং বড় ধরনের প্রাণহানির ঝুঁকি তৈরি করছে। দ্রুত এসব খুঁটি অপসারণ এবং বিকল্প পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন তারা।
কেকে/এআর