ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে গৃহবধূ শাহিনুর আক্তার (২৫) হত্যাকাণ্ডের প্রায় ১০ দিন পর হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী মো. সুজন মিয়াকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। ঢাকার কামরাঙ্গীরচর এলাকা থেকে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় চাঞ্চল্যকর এ মামলার মূল আসামিকে আটক করা হয়।
গত ১৬ থেকে ১৮ জুলাইয়ের মধ্যে বাঞ্ছারামপুর পৌর এলাকার থানা কলোনি এলাকার একটি ভাড়া বাসায় শাহিনুরকে নির্মমভাবে খুন করা হয়। হত্যার পর তার ঘরের দরজায় বাইরে থেকে তালা লাগিয়ে চলে যায় হত্যাকারীরা। ১৮ জুলাই রাতে তার বাবা ঘর থেকে দুর্গন্ধ পেয়ে পুলিশে খবর দিলে তালা খুলে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
পরে শাহিনুরের বাবা মো. গিয়াস উদ্দিন বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে বাঞ্ছারামপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলাটি তদন্তে নেয় পিবিআই ব্রাহ্মণবাড়িয়া। পুলিশ সুপার শচীন চাকমার তত্ত্বাবধানে এবং এসআই (নি.) মো. শাহাদাত হোসেনের নেতৃত্বে তদন্তে নামে একটি চৌকস দল। তথ্যপ্রযুক্তি ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে চিহ্নিত করা হয় সুজন মিয়াকে (৩৭)।
২৭ জুলাই তাকে ঢাকার কামরাঙ্গীরচর এলাকার এক আত্মীয়ের বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে সুজন জানায়, পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা আদায়ের উদ্দেশে তিনি এবং আরো তিন সহযোগী শাহিনুরের বাসায় যায়। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তারা শাহিনুরকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে পালিয়ে যায়।
হত্যার পর আত্মগোপনে গিয়ে নরসিংদী, নারায়ণগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে বেড়ায় সুজন। শেষ পর্যন্ত পিবিআইর জালে ধরা পড়ে।
পিবিআই ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুলিশ সুপার শচীন চাকমা জানান, শাহিনুর হত্যার রহস্য উদঘাটন ও মূল আসামি গ্রেফতারের ঘটনায় এলাকায় স্বস্তি ফিরে এসেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। মামলাটির তদন্ত এখনো চলমান রয়েছে।
কেকে/এএম