প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলার রনগোপালদী ইউনিয়নের আউলিয়াপুর এলাকায় খালে ওপর ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে ১৫ মিটার কালভার্ট নির্মাণে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় অর্থায়নে কাজ শুরু করেন মেসার্স বরকত এন্টারপ্রাইজ নামে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। কালভার্ট ও সংযোগ সড়ক নির্মাণে ব্যয় ৪০ লাখ ৫০ হাজার ৭ শত ১১ টাকা। তবে চলতি বছরের জুন মাসে নির্মাণ কাজ শেষ করেন ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। কাজের শেষেই সংযোগ সড়কে ধ্বংস দেখা দিয়েছে। এতে জনসাধারণের মনে চাপা ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। এদিকে স্থানীয়রা দাবি করছেন কাজে অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে এমন হচ্ছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কালভার্ট ও সংযোগ সড়কের কাজ শেষ হয়েছে এক মাস পূর্বে। তবে সংযোগ সড়কের ধ্বসের কারণে বিভিন্ন স্থানে গাছের খুঁটি পুঁতে দেওয়া হয়েছে। কালভার্টের সংযোগ সড়ক রক্ষায় সুরক্ষা ব্লক নির্মাণ না করার কারণে ধ্বংস দেখা দিয়েছে। 

এ ছাড়াও নিম্নমানের ইট দিয়ে সংযোগ সড়কটি করেছে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। সংযোগ সড়ক ভেঙে যাওয়ার কারণে ওই সড়কটি দিয়ে দুই গ্রামের ১৫ থেকে ২০ হাজার মানুষের ভোগান্তি ও দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

২২ নম্বর আউলিয়াপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী হাফিজ জানান, এই সড়ক দিয়ে আমাদের বিদ্যালয়ে আসা যাওয়ায় ভোগান্তি হচ্ছে। কালভার্টের সংযোগ সড়ক পুনরায় সংস্কারের দাবি জানান। 

কালভার্ট পারাপারের একাধিক পথচারী জানান, দুই তিনটি গ্রামের মানুষের উপজেলার যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম কালভার্ট। যে কালভার্ট নির্মাণ হয় প্রায় হয় মাত্র মাস খানের আগে। কয়েকদিনের লাগাতার বৃষ্টিতে এখন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে আছে। এখন পর্যন্ত ঠিক করতে কেউ আসেনি।  দীর্ঘদিন সংযোগ সড়কটি এমন বেহাল দশায় আমাদের দিনে ও রাতের চলাফেরা করতে সমস্যা হয়। 

এ বিষয়ে মেসার্স বরকত এন্টারপ্রাইজের প্রোপাইটার মো. বরকত উল্লাহ মুঠোফোনে জানান, আমি এ বিষয়ে কিছু জানি না। সাব-কন্টাক্টরের মাধ্যমে কালভার্টের নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। আমি সাব-কন্টাকটারের সঙ্গে যোগাযোগ করে দেখি।

এ বিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মিঠুন চন্দ্র মজুমদার জানান, আউলিয়াপুর ব্রিজটি নির্মাণ কাজ জুন মাসে শেষ হয়েছে। জামানত এক বছর পর্যন্ত আছে। সেতু নির্মাণের এক বছরের মধ্যে যদি কোন ক্ষয়ক্ষতি হয় ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তা পুনরায় সংস্কার করা হবে।

কেকে/এএম